শাহ আলম, সিইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। সাবেক পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে আজকে যারা অবৈধ অস্ত্রধারী, তারা শুধু চাঁদাবাজি, অবৈধ অস্ত্র দিয়ে মানুষকে জিম্মি করা নয়, তারা বর্তমানে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উৎকানিমূলক ষ্ট্যাটাস দিচ্ছে। জুম্ম ন্যাশন, স্বাধীন জুম্মল্যান্ডের পতাকা ও স্বাধীন জুম্মল্যান্ডের মুদ্রা কি হবে? এসব নিয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা সামাজিক মাধ্যমে প্রচারনার চালাচ্ছে। এইসব কর্মকান্ড জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে এগুলো অত্যন্ত দুঃখজনক ও স্পর্শ কাতর বিষয়। কারা বাংলাদেশ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামকে আলাদা করতে চায়, এদের বিষয়ে সর্তক থাকতে হবে প্রশাসনকে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, প্রতিনিয়ত সন্ত্রাস চাঁদাবাজি,অপহরণ, খুন, গুম এবং হুমকি ধামকি বন্ধসহ সকল প্রকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও নৈরাজ্য বন্ধের দাবিতে সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল শেষে, অনুষ্ঠিত নিউ মার্কেট এলাকায় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জনসাধারণের পক্ষ থেকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উদ্যেশে তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও একটু নজর দিতে হবে। যে বা যাঁরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ধরনের দেশদ্রোহী কর্মকান্ড অর্থাৎ ষ্ট্যাটাস দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান।
তিনি আরো বলেন, জেএসএস পাহাড়ের আনাচে-কানাছে যে হারে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাচ্ছে তাতে পার্বত্য চট্টগ্রামে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ আজ অতিষ্ট হয়ে গেছে। যার কারনে সকল শ্রেণিপেশার মানুষ, আজ চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছে।
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, কাপ্তাই উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অংশু চাইন চৌধুরী, কাউখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অংশু প্রু চৌধুরী, লংগদু উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জানে আলম, বনরূপা ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি আবু সৈয়দ, বাস লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি মঈনুদ্দিন সেলিম, আসবাবপত্র ব্যবসায়ি সমিতির সাধারন সম্পাদক আব্দুল শুক্কুর, রিজার্ভবাজার ব্যবসায়ি সমিতির সাধারন সম্পাদক হেলালউদ্দিন, তবলছড়ি ব্যবসায়ি সমিতির নেতা মামুনুর রশীদ, কাপ্তাই ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি অংসুই প্রু মারমা,মারমা সাংষ্কৃতিক সংস্থার উপদেষ্টা রাসেল মার্মাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। সমাবেশ পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হাজী মুছা মাতব্বর।
তিনি আরো বলেন, ১৯৭১সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের পরাজিত শক্তি এখনো বাংলাদেশকে নিয়ে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছে। সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে, আমাদের এই পার্বত্য চট্টগ্রামেও তারা ষড়যন্ত্রের ডানা মেলার চেষ্টা করছে। আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রামেও যুদ্ধপরাধী ছিল। যুদ্ধপরাধদের বংশধর এখনো আছে। তারাও কিন্তু সেই পাকিস্তানীদের সাথে আইএসএস এর সাথে হাত মিলিয়ে আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রামে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।