সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ আজ এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, গত ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে রাঙামাটি মারি স্টেডিয়ামে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে খেলার দু-পক্ষের মারামারিতে সুপায়ন চাকমা আহত হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ সন্ধ্যায় সম্পূর্ণ রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্যে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে রাস্তা অবরোধ করে মিছিল করে। উল্লেখ্য যে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার নগ্ন উদ্দেশ্যে তারা উক্ত কর্মসূচী পালন করেছিল যা তাদের কার্যক্রমে প্রতিফলিত হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, সেদিন ক্রিকেট খেলায় রান চুরির পর জয়-পরাজয় নির্ধারণ করার সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারি হলে সুপায়ন চাকমা আহত হয়। বস্তুত: সেই ঘটনায় পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের কোন সদস্য জড়িত ছিল না এবং খেলায়ও অংশগ্রহণ করেনি। পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের যে বক্তব্য তা মিথ্যাচার ছাড়া কিছু নয়। রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগ ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘটিত মারামারির ঘটনার সাথে কেবল ষড়যন্ত্রমূলকভাবে পিসিপি’কে জড়িয়ে ক্ষান্ত থাকেনি, তারা এ ঘটনার প্রতিবাদের নামে ১২-১৩ ফেব্রুয়ারি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা করে। সাধারণ পথচারী, সাংবাদিক ও পুলিশের উপরও ছাত্রলীগের দুর্বৃত্তরা হামলা করে আহত করে।
পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের তথ্য প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নিতীশ চাকমা প্রেরিত বিবৃতিতে আরো বলা হয়, সুপায়ন চাকমা আহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে পিসিপি’র কর্মী ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে হেয় এবং হয়রানি করার উদ্দেশ্যে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ১০-১৫ জনকে আসামী করে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়। এই হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলার জন্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জন্য দাবি জানাচ্ছে।
খেলোয়াড়দের ঘটনাকে রাজনৈতিক মাঠে নিয়ে হীন উদ্দেশ্য সাধন করার ছাত্রলীগের এই ন্যাক্কারজনক ষড়যন্ত্র কখনো শুভ ফল বয়ে আনবে না। হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করা না হলে তার জন্য উদ্ভূত যে কোন অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির জন্য ছাত্রলীগই দায়ি থাকবে বলে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ সুস্পষ্টভাবে বলতে চায়।