সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশেসিং এমপি বলেছেন, পার্বত্য অঞ্চলের সকল সম্প্রদায়ের মাঝে সম্প্রীতি বৃদ্ধি করতে হলে খেলাধুলার কোন বিকল্প নেই। ক্রীড়ায় পারে পার্বত্য অঞ্চলের সম্প্রীতির সেতু বন্ধন রচনা করে এই অঞ্চলের সুনাম শুধু দেশে নয় বিদেশে ছড়িয়ে দিতে। তাই বেশী বেশী খেলাধুলা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে এই অঞ্চল থেকে খেলোয়াড় তৈরী করতে হবে। যে খেলোয়াড়রা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ভাবে বিভিন্ন খেলাধুলায় অংশ গ্রহণের মধ্যে দিয়ে দেশের ব্যান্ড এম্বাসেডার হিসাবে কাজ করবে।
শনিবার রাঙামাটির চিংহ্লা মং মারী স্টেডিয়ামে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ অনুর্ধ ১৬ গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট এর প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের পৃষ্ঠপোষকতায় জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও জেলা ফুটবল এসোসিয়েশন এ খেলার আয়োজন করেছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের খেলাধুলাকে এগিয়ে নিতে রাঙামাটি জেলা পরিষদ সব সময় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে আসছে। তিনি বলেন, জেলা পরিষদ দীর্ঘ বছর ধরে অনুর্ধ ১৪ গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট চালিয়ে আসলেও পার্বত্য অঞ্চল থেকে ক্ষুদে খেলোয়াড়া তৈরীতে জেলা পরিষদ এবছর থেকে অনুর্ধ ১৬ গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট চালু করেছে।
তিনি আরো বলেন, এই ধারা অব্যাহত রেখে আগাম দিন গুলোতেও রাঙামাটি জেলা পার্বত্য জেলা পরিষদ ক্রীড়া অঙ্গনকে সচল রাখতে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে।
উদ্বোধনী খেলার আগে মনোজ্ঞ ডিসপ্লে প্রদর্শন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যেদের মধ্যে জেলা প্রশাসক মোঃ সামসুল আরেফিন, জেলা পরিষদ সদস্য মোঃ মুছা মাতব্বর, জেলা পরিষদ সদস্য ও ক্রীড়া বিষয়ক আহবায়ক ত্রিদীব কান্তি দাশ, সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া, সদস্য জ্ঞান বিকাশ চাকমা, জেবুন্নেছা রহিম, সবির কান্তি চাকমা, স্মৃতি বিকাশ ত্রিপুরা, অমিত চাকমা রাজু, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক বরুন কান্তি দেওয়ান সহ জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তা ও প্রচুর দর্শক খেলা উপভোগ করেন।
তুমুল উত্তেজনা পুর্ণ উদ্বোধনী খেলার প্রথমার্ধে দুই দল তিনটি গোল করতে সক্ষম হয়। খেলার প্রর্থমার্ধের ৭ মিনিটের মাথায় শাপলা যুব সংঘের ৮ নং জার্সি ধারী খেলোয়াড়া আমানুর রশিদ প্রথম গোল করে দলকে ১-০ গোলে এগিয়ে নিয়ে যায়। খেলার প্রথমার্ধের ১৩ মিনিটের মাথায় আবারো দ্বিতীয় গোল করে দলকে ২-০ এগিয়ে নিয়ে যায় ৮ নং জার্সি ধারী খেলোয়া আমানুর রশিদ।
পরে প্রথমার্ধের ফিরতি বলে ১৪ মিনিটের মাথায় ১ টি গোল পরিশোধ করে গোলের ব্যবধান কমান দি মর্নিং স্পোটিং ক্লাবের ১০ জার্সি ধারী খেলোয়াড় সিমন চাকমা। এ নিয়ে প্রথমার্ধে ২-১ গোলে মাঠ ছাড়ে দুইদল।
দ্বিতীয় দুই দলই বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ পেলেও কোন দল গোল করতে সক্ষম না হওয়ায় ২-১ জয় মাঠে ছাড়া শাপলা যুব সংঘ।
টুর্নামেন্টে রাঙামাটির ১৩ টি দল অংশ নিচ্ছে।
খেলায় সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার লাভ করে শাপলা যুব সংঘের ৮ নং জার্সিধারী খেলোয়াড় আমানুর রশিদ। মুল রেফারী হিসাবে খেলা পরিচালনা করেন সোহেল উদ্দিন, সহকারী রেফারীর দায়িত্বে ছিলেন শফিউল বাশার নেজাম ও হাসমত আলী। চতুর্থ রেফারী হিসাবে দায়িত্বে ছিলেন সুমন দে।
এদিকে প্রধার অতিথির বক্ত্যবে প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশেসিং এমপি পার্বত্য মন্ত্রণালয় থেকে টুর্ণামেন্ট পরিচালনার জন্য ৩ লক্ষ টাকা অনুদান ঘোষনা করেন। এছাড়া সেরা খেলোয়ার, সেরা গোল রক্ষক, সেরা সুশৃঙ্খল দল, সেরা রেফারী সকলকে ২৫ হাজার টাকা করে পুরস্কার প্রদান করার ঘোষনা দেন প্রতিমন্ত্রী।