সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটির সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু এমপি বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে রাঙামাটির বিভিন্ন সভা-সমাবেশে প্রদত্ত আমার বক্তব্য দিয়ে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরের প্রেক্ষাপটে একটি মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন ওয়েব পোর্টালে আমাকে হেয় করে আক্রমনাত্মক ভাষায় অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণভাবে মন্তব্যসহ গালি-গালাজ প্রকাশ করছে। আমি মর্মাহত হয়ে লক্ষ্য করছি যে, শিক্ষিত মুখোশের আড়ালে পাহাড়ের একটি বিশেষ শ্রেণীর কিছু উঠতি বয়সী যুবকের করা কুরচিপুর্ন বক্তব্যের মাধ্যমে তাদের কুৎসিত চেহারার বর্হিপ্রকাশ ঘটাচ্ছে।
একজন সংসদ সদস্য তথাপি রাজনীতির মাঠ থেকে উঠে আসা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সৈনিক হিসেবে পাহাড়ের নিপীড়িত জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে আমি আমার অবস্থান থেকে তাদের দুঃখ দুর্দশার কথা মহান জাতীয় সংসদসহ বিভিন্ন ফোরামে-সেমিনারে এবং সভা-সমাবেশে নিরপেক্ষতার সাথে বক্তব্য প্রদান করে আসছি।
দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখন্ডটা রক্ষায় এবং জাতীয় নিরাপত্তাসহ জনসাধারনের অধিকার আদায়ে কথা বলাটা একজন সচেতন রাজনৈতিককর্মী এবং দেশ প্রেমিক নাগরিক হিসেবে আমার কর্তব্য বলে আমি মনেকরি। সেই ছাত্রজীবন থেকে এই কর্তব্যের প্রতি নিষ্ঠা ও আন্তরিকতায় অতীতে যেমন কোনো ঘাটতি ছিলোনা তারই ধারাবাহিকতায় এখনো কথা বলে যাচ্ছি, এবং ভবিষ্যতেও আমার এই ধারা অব্যাহত রাখার বিষয়ে আমি দৃঢ় প্রত্যয়ি।
তাই দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাইযে যে ভা যারাই এই ধরনের কুরচিপূর্ণ প্রোপাগান্ডা চালিয়ে আমাকে জনগণের কাছে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্ঠা চালাচ্ছেন তারা কোনো ভাবেই আমাকে সাধারণ জনসাধারণ ও নেতাকর্মীদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারবেননা। তবে আমি এও মনে করি বর্তমান আধুনিক আইনী কাঠামোয় ডিজিটাল জগতে এই ধরনের প্রোপাগান্ডা সাইবার অপরাধ বা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে স্বীকৃত। কারন সমাজে কুলষতা ছড়ানো কুচক্রিদের থামানো নাগেলে তাদের এই বিষবাষ্প সামাজিক বন্ধনকে বিষাক্ত করে গড়ে তুলবে। তাই তাদের এই অপকর্ম থেকে বিরত থাকার জন্যে আমি উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি। পাশাপাশি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীকে বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণের এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি।