সিএইচটি টুডে ডট কম ডেস্ক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রাষ্ট্রপতি মন্ত্রীদের পদত্যাগপত্র গ্রহন না করা পর্যন্ত তারা বৈধ এবং স্বপদে থেকে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। কিছু লোক সংবিধান বিশেষজ্ঞ সেজে সংবিধানের অপব্যাখা দিচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, “মন্ত্রীরা পদত্যাগের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সংবিধান অনুযায়ী আমারও নানা ভূমিকা আছে। প্রধানমন্ত্রী না থাকলে মন্ত্রীদের পদ শূন্য হবে। প্রধানমন্ত্রী চাইলে মন্ত্রিসভা পুনর্গঠন করতে পারেন, নতুন কাউকে মন্ত্রিসভায় নিয়ে আসতে পারেন।”
দেশে এখন অনেক সংবিধান-বিশেষজ্ঞ। ইতিমধ্যে এ ব্যাপারে উকিল নোটিশও দেয়া হয়েছে। তারা আসলে সংবিধান ভালোভাবে পড়ে দেখেন কি না সন্দেহ। এখানে যে মহামান্য রাষ্ট্রপতিরও ভূমিকা আছে তা তারা ভেবে দেখেন না। তিনি ওই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করলেই কেবল মন্ত্রীদের পদ শূন্য হবে। আর এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতিকে এ ব্যাপারে পরামর্শ দেবেন। রাষ্ট্রপতি পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করলে মন্ত্রীদের বিদায় নয়।”
তিনি বলেন, “আমরাও সেরকম সংবিধানে কোনো ফাঁক রাখিনি। যাতে অবৈধভাবে কেউ ক্ষমতা দখল না করতে পারে, সে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আগামী প্রজন্মের জন্য সুন্দর ব্যবস্থা রেখে যেতে চাই।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হল, তরুণ শিক্ষকদের আবাসনের জন্য নির্মিত শহীদ আবুল খায়ের ভবন, সিনিয়র শিক্ষকদের জন্য শহীদ মুনীর চৌধুরী ভবন, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের আবাসনের জন্য বঙ্গবন্ধু টাওয়ার, প্রভোস্টদের শহীদ এম এ মুক্তাদির ভবন ও ব্যবসায় অনুষদের এমবিএ ভবনের (ইস্টার্ন উইং) ‘শুভ উদ্বোধন ও ফলক উন্মোচন’ উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এ কে আজাদ চৌধুরী।