সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটিতে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদকের)গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়।সোমবার সকালে জেলার শিল্পকলা একাডেমিতে এ গণশুনানি অনুষ্ঠিত সভা হয়। গণশুনানি সভায় রাণী দয়াময়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রণতোষ মল্লিকের বিরুদ্ধে আনীত অনেকগুলো অভিযোগ গণশুনানিতে উপস্থাপন করা হয়। এর মধ্যে জেলা শিক্ষা বিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও সাবেক রাঙামাটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উত্তম খীসা জানান, তদন্তকারি কর্মকতা হিসেবে রণতোষ মল্লিকের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অভিযোগের মধ্যে ৩টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
এর মধ্যে একটি নারী কেলেংকারি,বিদ্যালয়ের অর্থ ও চাকরি দেওয়ার নামে অর্থ আতœসাৎ এবং অবৈধ ভাবে প্রধান শিক্ষক পদোন্নতি। এসব বিষয় প্রমাণ পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। রণতোষ মল্লিকের সকল অভিযোগের কপি জেলা প্রশাসককে দেওয়ার জন্য গণশুনানিতে নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নানের সভাপতিত্বে গণশুনানিতে প্রধান অতিথি ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশন এ এফ এম আমিনুল ইসলাম। গণশুনানিতে সরাসরি ২৩টি অভিযোগ শুনেন দুদক কমিশন। এছাড়াও প্রায় শতাধিক লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে দুদক বরাবরে।
অংশ গ্রহনকারি জেলা যুব মহিলা আওয়ামীলীগ সদস্য গণশুনানিতে অভিযোগ করে বলেন, রাঙামাটি আদালতে বহিরাগত দালাল,রাইটার ও পেশকারদের অমানবিক হয়রানির শিকার আইনগ্রহিতারা। এসব চক্রের হাত থেকে রেহাই পেতে দুদকের সহযোগিতা চান সাধারণ জনগণ।
গণশুনানিতে সরাসরি ২৩টি অভিযোগ শুনেন দুদক কমিশন। এছাড়া ও প্রায় শতাধিক লিখিত অভিযোগ বিভিন্ন দপ্তরের বিরুদ্ধে জমা পড়েছে দুদক বরাবরে। শুনানিতে জেলার সকল দপ্তরের সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গণশুনানিতে আগত অনেকের অভিযোগ ছিল রাঙামাটি জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি এবং সাধারন সম্পাদকের বিরুদ্ধে। বির্তকিত ব্যাক্তিদের কিভাবে দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটিতে রাখা হয়েছে? সময় স্বল্পতার অভাবে অনেককে সরাসরি কথা বলার সুযোগ দেয়া হয়নি।