শিরোনামঃ

রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে এই রায়: বিএনপি

সিএইচটি টুডে ডট কম ডেস্ক।

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ট্রাইব্যুনালের রায়ে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী সুবিচার পাননি বলে মন্তব্য করেছে প্রধান বিরোধ দল বিএনপি। এ রায় গ্রহণযোগ্য নয় বলেও মনে করে দলটি। তারা দাবী করেছে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে এই রায় দেয়া হয়েছে।

Picture1444

বুধবার বিকেলে নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ মন্তব্য করেন।

মঙ্গলবার এ রায় হলেও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে এ সংবাদ সম্মেলন করা হলেও এতে সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি নেতারা।

লিখিত বক্তব্য শেষ হলে সাংবাদিকরা রায় নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করতে চাইলে ‘নো কমেন্ট’স’ বলে মির্জা ফখরুল সংবাদ সম্মেলন শেষ করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, “মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায়ে আমরা বিস্মিত হয়েছি। এই ট্রাইব্যুনাল গঠন ও বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিএনপি সবসময়ে বলে আসছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হতে হবে স্বচ্ছ ও ও আন্তর্জাতিক মানের। কিন্তু সরকার মানবতাবিরোধী অপরাধে বিচারের নামে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মূল করার ষড়যন্ত্র করছে।”

তিনি বলেন, “রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মূল করার যে হীন চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র সরকার চালাচ্ছে আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”

বিএনপির মুখপাত্র বলেন, “রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মূল করা এবং সুপরিকল্পিতভাবে সব সরকারি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংসে সরকারি অপচেষ্টার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে।”

এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে বলেও জানান তিনি।

সাকার রায়ের আগে ইন্টারনেটে তা প্রকাশ হয়েছে- এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, “স্কাইপি কেলেঙ্কারির পর সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ইন্টারনেটে রায় ফাঁস হওয়ায় এই রায় জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। এ ধরনের ঘটনা বিশ্বের ইতিহাসে ন্যায় বিবর্জিত ও নজিরবিহীন।”

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “রায় ফাঁসের ঘটনা স্বয়ং আইন প্রতিমন্ত্রী নিজে স্বীকার করে তা তদন্তের কথা বলেছেন। আজকে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্টার শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরীও করেছেন।” ইন্টারনেটে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায় আইন মন্ত্রনালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিবের দফতর থেকে ইন্টারনেটে রায় ফাঁস হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, “সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষে দুইজন বিশিষ্ট ব্যক্তি সাক্ষী দিতে চাইলেও, পারেননি। একজন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি তার পক্ষে (সাকা) সাক্ষ্য দেয়ার জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে লিখিত অনুমতি চাইলেও তিনি সাক্ষ্য দিতে পারেননি। এছাড়া একজন সাক্ষী হলফ করে বলেছেন, ১৯৭১ সালের ২৯ মার্চ সালাহউদ্দিন চৌধুরী দেশ ত্যাগ করে পাকিস্তানে যান এবং সে বছর ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত লন্ডনে ছিলেন। আর যে নয়টি অভিযোগে তাকে (সাকা)মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে তা ১৩ এপ্রিল থেকে জুলাই মাসের মধ্যে সংগঠিত হয়েছে।”

সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী সুবিচার পাননি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, এমকে আনোয়ার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট জয়নুল  আবেদীন, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক নিতাই রায় চৌধুরী, সংসদ সদস্য শাম্মি আক্তার, সহ-দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করিম শাহীন প্রমুখ।

Print Friendly, PDF & Email

Share This:

খবরটি 158 বার পঠিত হয়েছে


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Time limit is exhausted. Please reload CAPTCHA.

ChtToday DOT COMschliessen
oeffnen