সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। সার্বিক সমন্বয়ের মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চল থেকে ক্ষুধা, দারিদ্র, অশিক্ষা, কুসংস্কার দূরীকরণ এবং ধনী ও দরিদ্রের বৈষম্য হ্রাসের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখে এ অঞ্চলের বসবাসরত সকল জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন ও সমৃদ্ধ দেশ গঠনে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা।
আজ বুধবার রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত পরিষদের ডিসেম্বর ২০১৩ খ্রিঃ মাসের মাসিক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইরফান শরীফ এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য শামীম রশীদ, সদস্য অভিলাষ তংচঙ্গ্যা, নির্বাহী প্রকৌশলী দিলীপ কুমার চাকমা, ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিদুল ইসলাম, জনসংযোগ কর্মকর্তা অরুনেন্দু ত্রিপুরা’সহ হস্তান্তরিত বিভাগের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সিভিল সার্জন ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ জেলার স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়নে বিভিন্ন উপজেলায় ডাক্তার নিয়োগ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। প্রত্যেক উপজেলায় কমপক্ষে ৪জন ডাক্তার প্রয়োজন হলেও কিছু কিছু উপজেলায় ১জন ডাক্তারের ব্যবস্থা করাও সমস্যা হচ্ছে। এ জেলার স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হলে আরো ডাক্তারের প্রয়োজন রয়েছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একে এম রিয়াজ উদ্দীন বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় হতে সারাদেশের ন্যায় রাঙামাটিতেও নতুন বই চলে এসেছে। আগামী বছরের জানুয়ারীর ১ম দিনেই শিক্ষার্থীদের মাঝে এই নতুন বই বিতরণ করা হবে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, জেলার ৮টি উপজেলায় জেলে নিবন্ধনের কাজ সমাপ্ত হয়েছে।
সভায় জেলা পরিষদে হস্তান্তরিত প্রতিটি বিভাগের কর্মকর্তারা তাদের বিভাগের কর্মকান্ড তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইরফান শরীফ বলেন, আমরা এখানে সবাই কাজ করি এ অঞ্চল তথা দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য। তিনি আলোচনায় যে সমস্ত সমস্য ও বিভিন্ন বিষয়গুলো নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা হয়েছে সেগুলো চিহ্নিত করে যথাযথভাবে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
সভা শেষে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হস্তান্তরিত বিভাগের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, এ জেলায় যে সমস্ত এনজিওগুলো পরিষদের সাথে সমন্বয় না রেখে হস্তান্তরিত বিভাগের সাথে কাজ করছে সে সমস্ত এনজিওদের পরিষদের অনুমতি নিয়ে কাজ করার তাগিদ দেন।