সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। পাহাড়ের অনাবাদি জমিতে পেঁপে চাষ করে অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছেন রাঙামাটির কৃষকেরা।
কৃষিবিভাগের সহায়তা ও পরামর্শ নিয়ে জেলার বিভিন্ন উপজেলার পাহাড়ের পতিত জমিতে পেপে চাষ করে স্বাবলম্বী রাঙামাটির প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক কৃষক। পেপে চাষের বিষয়ে পরামর্শ নিয়ে নিজের পতিত জমিতে পেপে চাষ করে সফলতা পেয়েছেন কাপ্তাইয়ের শিক্ষিত বেকার যুবক নিপন বিকাশ তঞ্চঙ্গ্যা। নিপন পেপে চাষ করে এখন আর্থিক স্বচ্ছলতার পাশাপাশি রীতিমত স্বাবলম্বী একজন ব্যবসায়ী। সে প্রায় ১একর পতিত জমিতে পেপেসহ বিভিন্ন রকমের বাগান করেছে। পেপে চাষ করে নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের বিষয়ে নিপনের সাথে আলাপ করলে সে জানায়, কৃষি ডিপ্লোমা শেষ করে দুই বছর আগে কাপ্তাইয়ের ওয়া¹ায় পাহাড়ের পতিত জমিতে দুইশ চারা দিয়ে পরীক্ষামুলকভাবে পেঁপে চাষ শুরু করে নিপন বিকাশ তঞ্চঙ্গ্যা। প্রথমবারেই পেপে চাষ করে সফলতা এবং আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ায় নিপন আরো বেশী পরিমান পতিত জমি নিয়ে সেখানে পেপেসহ অন্যান্য ফলজ বাগানের পরিকল্পনা করছে বলে জানান। শুধু পেপে চাষ করে নিপন তঞ্চঙ্গ্যা আয় করেছেন ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা । পতিত জমিতে পেপেসহ বিভিন্ন ফলফলাদির চাষে নিপনের সফলতা দেখে এলাকার অনেকেই তার এই পদ্ধতিতে পেপেসহ অন্যান্য ফসলের চাষে উদ্ভুদ্ধ হচ্ছে। কাপ্তাইয়ে কৃষকদের মাঝে ইতিমধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে পেঁপে চাষ। পেপে চাষের খরচ অনুযায়ী বেশী লাভজনক হওয়ায় পাহাড়ী এলাকায় এখন বেড়েছে পেঁপে চাষ।
এলাকার অনেক কৃষক জানান,নিপনের সফলতা দেখে এলাকার তারা অনেকেই শুরু করে দিয়েছেন পেঁপে চাষ। পাহাড়ী ছড়া থেকে পানি সংগ্রহ করে পেঁপে চাষ করছেন তারা।
কাপ্তাই উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন বিভাগের কৃষি কর্মকর্তা সুষ্মিতা চাকমা জানান, পেপে চাষে লাভজনক হওয়ায় কাপ্তাই এলাকায় পেঁপে চাষ বাড়ছে। এবছর ১৪৫ হেক্টর জমিতে পেপে চাষ হয়েছে। পেপেসহ বিভিন্ন ফলজ চাষে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সহযোগীতা ও পরামর্শ দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন কৃষিকর্মকর্তা সুষ্মিতা চাকমা। শুধু পেপে নয়। কৃষি পরামর্শ এবং উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে পাহাড়ের মাটিতে যেকোন ফসল চাষাবাদ করা হলে পাহাড়ে ভাল ফলন ফলানো সম্ভব।