সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা বলেছেন, একটি শিশু স্কুল থেকে ভালো আচরণ, সহমর্মিতা বোধ, ব্যাক্তিগত স্বাস্থ্য অভ্যাস পরিবেশের পরিচ্ছিন্নতা ইত্যাদি আচরণগুলো শিখার মাধ্যমে শুধু নিজের নয় দেশ, সমাজ এবং জাতির জন্য মঙ্গঁল বয়ে আনতে পারে। । তিনি বলেন, স্কুলের সুন্দর এবং সুস্থ পরিবেশে যদি প্রত্যেক শিশু সুস্বাস্থ্য অভ্যস্থে বেড়ে উঠে তাহলে আমরা তাদের ভবিষ্যতের বুদ্ধিদীপ্ত, সুস্থ, সবল এবং কর্মঠ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারবো
আজ মঙ্গলবার সোসইটি ফর পিপলস্ এ্যাকশন ইন চেঞ্জ ইকুইটি (স্পেস) এবং কনসার্ন ইউনিভার্সাল বাংলাদেশের আয়োজনে এবং কনসার্ন ইউনিভার্সেল বাংলাদেশ এর কারিগরি সহায়তায় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত স্কুলের নেতৃত্বে সুবিধা বঞ্চিত স্কুল ও দরিদ্র জনগোষ্ঠির মধ্যে নিরাপদ পানি, স্যানিটেশান এবং হাইজিন বিষয়ক চাহিদা সৃষ্টি, সুবিধা বৃদ্ধি উন্নত ব্যাবহার ও সেবা উন্নয়ন উদ্বোধনী বক্তব্যে চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ড. মুস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে স্পেসের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা অনিতা ত্রিপুরার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্পেসের কোঅর্র্ডিনেটর সাক্ষ্য মিত্র তংচঙ্গ্যা, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য ¯েœহ কুমার চাকমা, কনসার্ন ইউনিভার্সেল এর প্রতিনিধি জাহিদুল মামুন, জাহিদ নেওয়াজ, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ফজলুর রহমান প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে সোসইটি ফর পিপলস্ এ্যাকশন ইন চেঞ্জ ইকুইটি (স্পেস)’র নির্বাহী পরিচালক আজাহার আলী প্রামানিক প্রজেক্টরের মাধ্যমে প্রকল্পের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরে বলেন, ২০১৬ সালের মধ্যে সারাদেশের ২৩ জেলার ১০ লক্ষ স্কুল শিক্ষার্থীদের নিরাপদ পানি এবং স্যানিটেশান সুবিধা প্রদান করাই হবে এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। তিন পার্বত্য জেলার ২২৫টি প্রাইমারি এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এই সুবিধা দেয়া হবে। এই বিদ্যালয়গুলো মধ্যে ৮০ শতাংশ প্রাইমারি এবং ২০ শতাংশ মাধ্যামিক বিদ্যালয়ে এ সুবিধা প্রদান করা হবে তার মধ্যে রাঙামাটির সদর এবং রাজস্থলী উপজেলার মোট ৭৫টি বিদ্যালয়ে এ কার্যক্রম চলবে বলে উল্লেখ করেন।