সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতিকে জড়িয়ে কিছু সংবাদ মাধ্যমে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতি।
বুধবার বিকেল ৩ টায় রাঙামাটি প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান শিক্ষক সমিতির নেতারা বলেন, সম্প্রতি রাঙামাটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতিকে জড়িয়ে কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে যেভাবে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে তা সত্য নয়। এ সংবাদ বিভ্রান্তি ছড়িয়ে বলে জানান সমিতির নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা প্রাথমিক প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি সবিনয় চাকমা।
এ সময় তিনি বলেন, শিক্ষকদের চাকুরী স্থায়ী করণের জন্য শুধু প্রধান শিক্ষকদের জন্য কাজ করছে জেলা সরকারী প্রাথমিক প্রধান শিক্ষক সমিতি।
সমিতির স্বার্থে এবং সমিতির কাজের গতিশীলতা আনার জন্য সমিতির সভার সিদ্ধান্ত হয় প্রতি প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে এক হাজার টাকা গ্রহন পূর্বক একটি ফান্ড গঠন করা হবে। কিন্তু এ নিয়ে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে ঐসব মিডিয়াগুলো। যা আসলে সত্য নয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, একজন সরকরী কর্মচারী সরকারী চাকুরীতে প্রবেশর সূচনা লগ্নে তিনি তার মেডিকেল সার্টিফিকেট প্রদান করে চাকুরীতে যোগদান করেন এবং অনতি বিলম্বে পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম পূরণ করে থাকেন যা পুলিশ বিভাগ কর্তৃক গোপনীয় ভাবে তদন্ত কার্য সম্পাদন করে কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। আমরা প্রধান শিক্ষকগণও ঠিক সে রকম কার্য সম্পাদন পূর্বক চাকুরীতে যোগদান করি ( অবশ্য ইদানিংকালে অনেক সময় নিয়োগের আগেই পুলিশ ভেরিফিকেশন করা হচ্ছে)। সরকারী চাকুরীজীবি হিসেবে এযাবত যা জেনে এসেছি সন্তোষজনক তিন বছর চাকুরী কাল অতিক্রম হলেই সয়ংক্রিয় ভাবে চাকুরী স্থায়ী হয়ে যায়। সেই নিয়ম মোতাবেক আমদের চাকুরী স্থায়ী হয়েছে ইহাই ছিল আমাদের ধারণা। সম্ভবত (২০১৪/২০১৫) রাঙামাটি জেলায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হিসেবে বদলী হয়ে আসেন জনাব, আবু জাফর সালেহ মহোদয়। তিনিই প্রথম ধারণা দেন আমাদের চাকুরী স্থায়ীকরণ করতে হবে।
তবে চাকুরী স্থায়ী করণ করতে তিনি যে তথ্যগুলো দাবী করেন তার কিছু তথ্য আমাদের হাতে থাকলেও পাঁচ বছরের এসিআর পুলিশ ভেরিফিকেশন রিপোর্ট প্রভৃতি হাতে না থাকায় এবং সেগুলো সংগ্রহ করতে পর্যাপ্ত সময় আমাদের হাতে না থাকায় তখন আমাদের চাকুরী স্থায়ীকরণ করা সম্ভব হয়নি।
যদিও চাকুরী স্থায়ীকরণের কাজ চলছে তবুও স্থায়ীকরণ না থাকার কারণে যা সমস্যা হওয়ার কথা সেসব সমস্য না হওয়ায় আমাদের কার্যক্রমও দিনদিন পিছিয়ে যাচ্ছিল।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, এ জেলার প্রধান শিক্ষকদের নিয়োগ দিয়েছে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ। কিন্তু ২০১৪ সালের ৯ মার্চ তাদের চাকরি দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত হওয়ার পর বর্তমানে নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ অধিদফতর বা মন্ত্রণালয়। এজন্য নিয়োগ, পেনশন, এলপিআর, পিআরএল, প্রমোশনসহ যাবতীয় সুযোগ সুবিধা মঞ্জুর করে অধিদফতর বা মন্ত্রণালয়। ফলে চাকরি স্থায়ীকরণ না হওয়ায় এসব ক্ষেত্রে নানা বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। আর চাকরি স্থায়ীকরণে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ ও দাখিল নিয়ে হতে হচ্ছে নানা সমস্যার সম্মুখীন।