সিএইচটি টুডে ডট কম ডেস্ক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিএনপির নেত্রী হাসিনামুক্ত বাংলাদেশ চান। তাই আমাকে হত্যা করতে চেয়েছেন কিন্তু পারেননি, এখন তাই নির্বাচনেও আসতে চান না। আমাদের আমলে যত নির্বাচন সবগুলো শান্তিপুর্ন ও অবাধ হয়েছে কেউ এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেনি। প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে উদ্দ্যেশ্য করে বলেন নির্বাচনে আসুন, জনগণ ভোট দিলে আপনারা ক্ষমতায় যাবেন। আর আন্দোলনের নামে মানুষ মারবেন না।
তিনি বলেন, সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া, আহছানুল্লাহ মাস্টার, আইভি রহমানসহ অনেককে চারদলীয় জোটের সময় হারাতে হয়। আমাকে সরাতেও গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছে। আমরা ক্ষমতা আসার পর মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পারছে।’
আজ বুধবার নবম জাতীয় সংসদের ১৯তম অধিবেশনের শেষ কার্যদিবসে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, কোনো জরুরি অবস্থা না হলে আর এই সংসদ বসবে না। নতুন নির্বাচিত ব্যক্তিরাই আগামীর সংসদে বসবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আজ নবম জাতীয় সংসদের ১৯তম অধিবেশনের শেষ কার্যদিবস। আমি সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাত্ করে জানিয়েছি, আমরা সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। রাষ্ট্রপতি আমাকে নির্বাচনকালীন সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পালন করতে বলেছেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই নির্বাচন কমিশন আমি গঠন করি নাই। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান সবার সঙ্গে কথা বলে এই কমিশন গঠন করেন। বিরোধীদলীয় নেতার সঙ্গে বঙ্গভবনে নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে কথা বলেছেন রাষ্ট্রপতি। একটি সার্চ কমিটির মাধ্যমে এই কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনের অধীনে অতীতের নির্বাচনগুলো যেভাবে সুষ্ঠু হয়েছে, আগামীর নির্বাচনও সেভাবে সুষ্ঠু হবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘ক্ষমতা গ্রহণের মাত্র ৫২ দিনের মধ্যে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা ঘটে। আমরা সেই বিচার সম্পন্ন করেছি। এত কম সময়ে এত বেশিসংখ্যক আসামির বিরুদ্ধে রায় পৃথিবীর ইতিহাসে আর হয় নাই।’ তিনি বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীর বিচারের রায়ও আমাদের সময়ে কার্যকর হবে।’