সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। আজ ১০ নভেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির প্রতিষ্ঠাতা জুম্ম জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা, সাবেক পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ও বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদে পার্বত্য চট্টগ্রাম-১ আসন থেকে নির্বাচিত সাংসদ পার্বত্য চট্টগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা প্রয়াত মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার (এমএন লারমা) ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৮৩ সালের ১০ নভেম্বর এমএন লারমা আট সহযোগীসহ দলের বিভেদপন্থি প্রীতি গ্র“পের হাতে নির্মমভাবে খুন হন। সেই থেকে প্রতি বছর পাহাড়ের জুম্ম জনগণ প্রতিক্রিয়াশীল, সুবিধাবাদী বিভেদপন্থীদের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্যের আহবান জানিয়ে দিবসটি স্মরণ করে আসছে।
এমএন লারমা ১৯৭০ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করেন এবং পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭২ সালের ১৫ ফেব্র“য়ারি তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিকট চারদফা সম্বলিত আঞ্চলিক স্বায়ত্বশাসনের দাবিনামা পেশ করেন। তিনি ১৯৭২ সালের ১৫ ফেব্র“য়ারি পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি গঠন করেন এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭৩ সালের প্রথম বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনসংহতি সমিতির একক প্রার্থী হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রাম-১ আসন থেকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। ১৯৭৩ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতির দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ১৯৭৪ সালে বাকশালে যোগ দেন।
এমএন লারমার ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল রাজধানীতে স্বরনসভা অনুষ্ঠি হয়। এছাড়া রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে জেলা এবং উপজেলা সদরে দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহন করা হয়েছে, তবে হরতালের কারনে কর্মসুচীতে কিছুটা াদ বদল আনা হয়। গৃহীত কর্মসূচির মধ্যে সকালে প্রভাতফেরি, এমএন লারমার প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণ, স্মরণসভা এবং সন্ধ্যায় প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও ফানুস উড়ানো। এ উপলক্ষে রাঙামাটিতে বুধবার বিকাল ৩টায় শিশুদের চিত্রংকন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল ও এমএন লারমা মেমোরিয়েল ফাউন্ডেশন।