সিএইচটি টুডে ডট কম ডেস্ক। পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পর মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা গত কয়েক দিন ধরে সচিবালয় আসছেন না এতে করে প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ের কাজকর্মে কিছুটা শিথিলভাব দেখা যায়। সোমবার নির্বাচনকালীন ‘সর্বদলীয় সরকারের’ মন্ত্রিসভার সদস্যরা যখন বঙ্গভবনে শপথ নিচ্ছিলেন, তখন সচিবালয়ে বেজে ওঠে বিদায়ের সুর। মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের অনেকেই তখন আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নিতে শুরু করেন। আবার অনেকে দপ্তরেই আসেননি।
মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ সবার আগ্রহ ছিল বঙ্গভবনের দিকে। দুপুরের পর থেকেই নাম আসতে থাকে, কারা শপথ নিচ্ছেন নতুন সরকারের মন্ত্রী হিসেবে। আর তখনই বেজে ওঠে বর্তমান মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের বিদায়ের সুর। কেউ কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে এবং কেউ কেউ নিজ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে অনানুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নিয়েছেন।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক ও পাবর্ত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার গতকাল নিজ মন্ত্রণালয় ও অধীন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বিদায়ী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দপ্তরের একজন কর্মকর্তা জানান, প্রতিমন্ত্রী তাঁদের জানিয়েছেন তিনি গতকালের পর আর মন্ত্রণালয়ে আসবেন না।
পানিসম্পদমন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন, ভূমিমন্ত্রী রেজাউল করিম, সমাজকল্যাণমন্ত্রী এনামুল হক মোস্তফা শহীদ, মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার, ভূমি প্রতিমন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এ বি তাজুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী গতকাল অফিসেই আসেননি বলে জানিয়েছেন তাঁদের দপ্তরের কর্মকর্তারা। এঁদের মধ্যে কেউ কেউ নিজ নির্বাচনী এলাকায় গেছেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশারফ হোসেন ভুইয়া বলেছেন, যেসব মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী নির্বাচনকালীন সরকারে থাকবেন না, তাঁদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে আজ মঙ্গলবার গেজেট প্রকাশ করা হতে পারে।