সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা বলেছেন, সভ্য সমাজ গড়তে ও শিক্ষা-দীক্ষায় আগামী প্রজন্মকে সমৃদ্ধ-সভ্য প্রজন্ম হিসেবে দেখতে চাইলে ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো উন্নয়নের বিকল্প নেই। বুদ্ধ ধর্ম সভ্য জাতি গঠনের শিক্ষা দেয়। আজ এই বুদ্ধ বিহারে এসে ভিত্তিফলক উন্মোচনের সুযোগ পেয়েছি, পুণ্যকর্ম করার সুযোগ পাচ্ছি।
সোমবার নানিয়ারচর উপজেলার বড়পুল পাড়া শাক্যমুনি বৌদ্ধ বিহারের ভিত্তিফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদান্যতায় রাঙামাটি জেলা পরিষদের দায়িত্ব নিয়ে কিছুটা হলেও রাঙামাটির পার্বত্য জেলার উন্নয়ন মুলক কাজে নিজেকে নিয়োজিত করতে পেরেছি সেজন্য আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। পাশাপাশি এ এলাকার মানুষ উন্নয়নমুলক কাজে আমাকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সেজন্য রাঙামাটিবাসীর কাছেও আমি কৃতজ্ঞ। এই দায়িত্ব পেয়েছি বলে মানুষের কাছকাছি আসতে পেরেছি, মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি এটাই আমার বড় পাওয়া।
নানিয়ারচর সদর ইউনিয়নের ওয়ার্ড মেম্বার সেন্টু চাকমার সঞ্চালনায় বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি কুমুন্দ লাল চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সদ্ধর্ম দেশনা দেন বিহার অধ্যক্ষ আনন্দ পাল স্থবির।
অনুষ্ঠানে পঞ্চশীল প্রার্থনা করেন বাবুল বিকাশ চাকমা। বক্তব্য রাখেন নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রীতিময় চাকমা ও সাবেক্ষং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুপন চাকমা।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নানিয়ারচর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কুমেন্দ বিকাশ চাকমা, নানিয়ারচর সদর ইউপি চেয়ারম্যান বিনয় কৃৃষ্ণ খীসাসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হেডম্যান ও কার্বারী গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
চেয়ারম্যান আরো বলেন, নানিয়ারচরের সন্তান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই এলাকার উন্নয়নে সাধ্যমত চেষ্টা করেছি। যাতায়াত ও যোগায়োগের সুবিধার্থে রাস্তাঘাট, সিড়ি-কালভার্ট নির্মাণসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এলাকার জনগণ যাতে উন্নয়নের ধারায় চলে আসতে পারে সেটাই আমি চাই। আজকে ছোট্ট পরিসরে হলেও বড়পুল পাড়ার মানুষ ধর্ম-পুণ্য করার সুযোগ পাচ্ছে। ভবিষ্যতে এই বিহারের উন্নয়নের জন্য আরো কাজ করার আশ্বাস দেন তিনি।
অনুষ্ঠান শেষে তিনি মরাচেঙ্গী গ্রামের কার্বারী বিনোদ বিহারী চাকমার বাড়িতে গিয়ে তার সাথে কুশল বিনিময় করেন ও শারীরিক অসুস্থতার খোজ খবর নেন। এ সময় স্থানীয় তরুণ ও জনপ্রতিনিধিরা তার সাথে ছিলেন।