সিএইচটি টুডে ডট কম ডেস্ক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, হরতালের নামে যখণ দেখি পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করে দাড়িয়ে কেউ হাসে তখন বড় কষ্ট লাগে মনে হয় তখন প্রধানমন্ত্রীত্ব দরকার নেই। মানুষের শান্তি একটু সু:খ দিতে চাই। আমরা লাশের রাজনীতি করি না যারা লাশের রাজনীতি করেন তাদের বলতে চাই আর নয় অনেক রক্ত নিয়ে খেলেছেন হরতালের নামে অনেক লাশ ফেলেছেন এবার মানুষকে একটু শান্তি দিন। মানুষের এত কষ্ট সহ্য হয় না।
আজ রোববার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় খতিব ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইমামদের সম্মেলনে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে পুরস্কার পাওয়াদের হাতে সনদ তুলে দেন।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোট হরতালের নামে মানুষ পোড়াচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হরতালে কাভার্ড ভ্যানে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মনির নামের এক কিশোর অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যাওয়ার সময় বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা দাঁত বের করে হেসেছে।’
সমস্যা সমাধানে বিরোধীদলীয় নেতাকে ফোন করে আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর আমন্ত্রণে বিরোধীদলীয় নেতা হরতাল প্রত্যাহার করেননি, আলোচনাতেও আসেননি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা সুন্দরভাবে উন্নত দেশ গড়ে তুলতে চাই। জনগণের উন্নয়ন চাই। আমি প্রধানমন্ত্রী চাই না। জনগণ চাইলে ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বানাবে আর না চাইলে না বানাবে।”
শেখ হাসিনা বলেন, “ধর্মের সঙ্গে জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই। যারা ধর্মকে ব্যবহার করে জঙ্গিবাদ করে তারা ধর্মের শত্রু। জঙ্গিবাদ মানে ইসলাম নয়।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিএনপি-জামায়াত-হেফাজত এক হয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার বন্ধ করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করা আমরা মনে করি মানব কল্যাণেই এটা করা উচিত। অথচ সেই বিচার যখন হচ্ছে তখন সেই অপরাধীদের রক্ষা করার নামে উল্টো আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ানো হচ্ছে।”
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ইসলামের ব্যাপক প্রচার হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমি প্রতিদিন সকালে উঠে নামাজ পড়ে কুরআন তেলাওয়াত করে আমার কাজকর্ম শুরু করি। এরপরেও যারা বলে আমরা নাকি ইসলামের শত্রু, আমার বাপ-দাদারা ইসলামের নয়, তখন খুব কষ্ট পাই। আমি আমার বাপ-দাদার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ দিতে পারবো। তাদের মধ্যে কেউ অন্য ধর্মের নয়।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা গাড়িতে আগুন দিয়ে গায়ে পেট্রোল দিয়ে মানুষ খুন করছে। তারা দেশের মানুষকে শান্তিকে থাকতে দেবে না। এটা সহ্য হয় না।”
প্রধানমন্ত্রী জানান, কওমি মাদরাসা শিক্ষিতদের কল্যাণে তিনি কিছু করতে চান। কিন্তু কিছু লোক না বুঝেই এর বিরোধিতা করছেন।