সিএইচটি টুডে ডট কম ডেস্ক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন বিরোধীদলীয়নেত্রী হরতাল প্রত্যাহার না করে মানুষ হত্যা করার খেলায় মেতে উঠেছেন। উনি আমাকে আলটিমেটাম দিয়েছেন। আমি তার আগেই ফোন দিয়েছি। হরতাল প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছি। এর পরও তিনি হরতাল প্রত্যাহার করলেন না। এ হরতালে ২০ জনের বেশি মানুষ হত্যা করে কী অর্জন করলেন—এ প্রশ্নটা আমি রাখতে চাই। হরতাল করে কতগুলো মায়ের কোল খালি করা হয়েছে। অনেক পরিবার বিপর্যয়ে পড়েছে। অনেকে পঙ্গু হয়েছে। এটাই কী তার খেলা। উনি কী অর্জন করলেন?”
বুধবার দুপুরে গণভবনে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। পরে গণভবনে রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরো বলেছেন, “বিরোধী দলীয় নেতার সঙ্গে সমঝোতার জন্যই তাকে ফোন দিয়েছিলাম। এজন্য দেশের মানুষের কথা ভেবে অনেক অপমান সহ্য করতে হয়েছে আমাকে। উনার সব কথার উত্তর আছে। কিন্তু আমি চেয়েছিলাম আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতা। উনি একের পর এক কথা বলেছেন, শর্ত দিয়েছেন। আমি আল্লাহকে বলেছি, আমাকে যেন আরো ধৈর্য দেন। আমার এমনিতে ধৈর্য আছে। আল্লাহকে বলেছি আরো ধৈর্য দিতে।”
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান চাই। কিন্তু উনি (খালেদা) একের পর এক ইস্যু তৈরি করছেন। তবে আলোচনার দরজা এখনো খোলা রয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
ফোনালাপ গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়া প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, “বিএনপিই প্রথম এই ফোনালাপ প্রকাশ করেছে। এ নিয়ে পত্র-পত্রিকায়ও অনেক কিছু লেখা হয়েছে। মানুষ অল্প জানার চেয়ে পুরাটাই জানুক।”
এ সময় দলের কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহেমদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, মতিয়া চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, মাহবুবউল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, মণৃাল কান্তি দাস, অসীম কুমার উকিল, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম প্রমুখ।