সিএইচটি টুডে ডট কম ডেস্ক।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি মানে লুটতরাজ আর জঙ্গীবাদ। বিএনপির আমলে পাবনার জনগনের উপর চালানো হয়েছিল সন্ত্রাস, লুটতরাজ। সে সময় এরা আওয়ামী লীগ নেতা হযরত আলী, মহসীন, ফারুক, সামাদ, সোহেল, আমজাত, রাজ্জাক, টিপু, শহীদ যুবলীগর সিরাজুল, নজরুলসহ অসংখ্য নেতাকে হত্যা করা করেছে। আগামীতে এরা ক্ষমতায় আসলে দেশকে দুর্নীতি আর জঙ্গীবাদ উপহার দিবে। বুধবার পাবনার ঈশ্বরদীতে রূপপুর আণবিক প্রকল্প মাঠে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন“আগামীতে মহাজোট ক্ষমতায় এলে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে সরকারি কলেজ ও স্কুল করা হবে।”
তিনি বলেন, “সরকার সাড়ে চার বছরে বিদ্যুতের উৎপাদন নয় হাজার ৭১৩ মেগাওয়াটে উত্তীর্ণ করেছে। যা দ্বিগুণেরও বেশি। এতে রিজার্ভ বেড়েছে। আর বিদ্যুত খাতের উন্নয়নের কারণে দারিদ্র্য ৫৬ শতাংশ থেকে কমে ২৬ শতাংশে নেমে এসেছে। বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সরকার বিদ্যুৎ খাতের ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। ৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে বিদ্যুৎ উৎপাদন এক হাজার ৬০০ থেকে চার হাজার ৩০০ মেগাওয়াটে উত্তীর্ণ করে আওয়ামী লীগ। বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর যা কমিয়ে তিন হাজার ২০০ করেছিলো। বিদ্যুৎ ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে বিদেশী বিনিয়োগ বেশি দরকার। সেদিকে মনোযোগী হয়েছে সরকার। ইতিমধ্যেই ভারত, মালয়েশিয়া ও চীনের সঙ্গে যৌথভাবে বেশ কয়েকটি কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।”
তিনি বলেন, “আমরা কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী। সে কথা প্রমাণ করেছি। ২০২১ সালে ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে সরকার। তার মধ্যে ১০ ভাগ আসবে পারমাণবিক বিদ্যুৎ থেকে।”
দেশ ডিজিটালাইজেশনের দিকে আগাচ্ছে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়েছি। দেশের মোবাইল ফোনের দাম কমিয়েছি। কলরেট কমিয়েছি। বিভিন্ন শিক্ষাকেন্দ্রে কম্পিউটার দিয়েছি। তথ্যকেন্দ্র চালু করেছি। সেখানে অনেক ছেলে-মেয়ের কর্মসংস্থান হয়েছে। একটি বাড়ি একটি খামার করেছি। কমিউনিটি ক্লিনিক করেছি। কিন্তু বিগত সরকার এ কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছিল। আমরা আবার তা চালু করেছি।’
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে মানুষ ও পরিবেশের নিরাপত্তার ওপর সর্বাধিক গুরত্ব দেয়া হবে বলেও নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে ১৯৭১ সালে মুক্তিকামী মানুষের পাশে হাত বাড়িয়ে দেয়ার জন্য, সেই সঙ্গে আজও দেশের উন্নয়নে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানোর জন্য রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট পুতিনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান শেখ হাসিনা।