সিএইচটি টুডে ডট কম ডেস্ক। বিএনপিকে ছাড়াই মহাজোটভুক্ত দলগুলো নিয়ে গঠিত হতে যাচ্ছে নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার। সেখানে জাতীয় পার্টি, জাসদ ও ওয়াকার্স পার্টি থাকছে। প্রথম দফার মন্ত্রীসভা গঠনে বিএনপি বা তাদের শরীকদলের কেউ থাকছে না। এদিকে রাতে সর্বদলীয় সরকারে বিএনপিকে রাজি করাতে মার্কিন রাষ্ট্রদুত ড্যান মজিনার বাসায় বিএনপি, আওয়ামীলীগ ও জামাত বৈঠক করেছে।
রাতে রাষ্ট্রপতির সাথে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে দেখা করার পর মন্ত্রী পরিষদ সচিব মোশারফ হোসেন ভুইয়া সাংবাদিকদের জানান, সর্বদলীয় সরকার গঠনের বিষয়টি রাষ্ট্রপতি স্বাগত জানিয়েছেন। সোমবার ৩টায় মন্ত্রীসভায় কিছু নতুন সদস্য যোগ দিবেন। দেখা করার পর শপথ নিচ্ছে কাল সোমবার বেলা তিনটায়।
আওয়ামী লীগ ও সরকারের একাধিক সূত্র জানায়, নতুন মন্ত্রিসভা হবে ২১ থেকে ২৫ সদস্যের। জাতীয় পার্টি ছাড়াও অন্তর্বর্তী এই সরকারে থাকবে আওয়ামী লীগ, জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি ও আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি (জেপি)। এতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের থাকবেন ১৫ জন সদস্য।
সূত্রগুলো আরও জানায়, সর্বদলীয় মন্ত্রিসভায় যোগ দেওয়ার জন্য আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমির হোসেন আমু আগ্রহ প্রকাশ করলেও তোফায়েল আহমেদ এখনো সিদ্ধান্ত জানাননি। আগেরবার মন্ত্রিসভার রদবদলের সময় মন্ত্রিত্বের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়া তোফায়েল আহমেদকে রাজি করানোর জন্য চেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, এ ছাড়া বর্তমান মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্যে আবুল মাল আবদুল মুহিত, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, মতিয়া চৌধুরী, নূরুল ইসলাম নাহিদ, ওবায়দুল কাদের, আবদুর রাজ্জাক, দীপু মনি, শফিক আহমেদ, মহীউদ্দীন খান আলমগীর প্রমুখ সর্বদলীয় সরকারে থাকতে পারেন বলে জানা গেছে।
ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষে রাশেদ খান মেনন ও জাসদের হাসানুল হক ইনুও সর্বদলীয় সরকারে যোগ দেবেন এটা অনেকটাই নিশ্চিত।
জাতীয় পার্টি সূত্র বলছে, তাদের পক্ষ থেকে সর্বদলীয় সরকারে যোগ দেবেন রওশন এরশাদ, জি এম কাদের, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, সালমা ইসলাম ও মুজিবুল হক চুন্নু।
তবে সব সিদ্ধান্তই প্রধানমন্ত্রী নেবেন বলে জানিয়েছেন সরকার ও আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকেরা। ফলে শেষ মুহূর্তে এসব নামে পরিবর্তন আসতে পারে।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও জাতীয় পার্টিকে সর্বদলীয় সরকারে রাখতেই মন্ত্রিসভার পুনর্গঠন প্রক্রিয়া পিছিয়ে গেছে। এক সপ্তাহেরও বেশি সময় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সংশ্লিষ্টদের ছুটি বাতিল করে তৈরি রাখা হয়েছিল শপথ অনুষ্ঠানের জন্য।
জানা গেছে, এখনকার অবস্থা বিবেচনায় বিএনপিকে বাইরে রেখেই মন্ত্রিসভা গঠন করা হচ্ছে। বিএনপি রাজি হলে জামাতকে বাদ দিয়ে তাদের থেকেও ৮ থেকে ১০ জন মন্ত্রী নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারি দলের।
গত সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের বৈঠকে সরকার দলীয় মন্ত্রীরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন।
