বান্দরবান প্রতিনিধি, সিএইচটি টুডে ডট কম।
আর মাত্র কয়েকদিন পরেই দূর্গাপূজা। ধুপ ধুনুচি আর ঢাকের তালে সারা দেশের সাথে তাল মিলিয়ে মেতে উঠবে পার্বত্য জেলা বান্দরবান। রঙিন আলোয় ভরে উঠবে পূজা প্রাঙ্গন। সনাতন ধর্মানুসারীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গা পূজা। সার্বজনীন এই পূজাকে ঘিরেই সবার মনে সাজ সাজ রব আর আগাম ছুটির আভাস। দূর্গা পূজাকে ঘিরে মার্কেটগুলোতেও দেখা গেছে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। এদিকে দূর্গা পূজাকে ঘিরে প্রতিমা শিল্পীরাও ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছেন। প্রতিমার আকর্ষনীয় গঠন এবং নিখূতভাবে সৌন্দর্যের কাজটি ফুটিয়ে তোলার জন্য সবশেষে এখন তুলির আঁচড়ের অপেক্ষায় তারা।
শহরের প্রধান পূজা মন্ডপের জন্য প্রতীমা তৈরির কাজে ব্যস্ত প্রতিমা শিল্পী বিমল পাল বলেন, আষাঢ়ের ৮ তারিখ থেকে আমরা প্রতিমা তৈরিতে হাত দিয়েছি। এখন কাজ প্রায় শেষের পথে। প্রতিমাগুলোতে নকশা ঠিক করা হচ্ছে। কয়েকদিনের মধ্যেই রঙ লাগানোর কাজ করবো। তার পর আকর্ষনীয় পোষাক পরিচ্ছদে সুসজ্জিত করা হবে। বিমলের সাথে আরো ৭ জন শিল্পী কাজ করছেন। আগের বছর তাদের কাছে ২০ টি প্রতিমা তৈরির অর্ডার থাকলেও এবার ২৭ টি প্রতিমা বানাবেন তারা। প্রতিমা তৈরির পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন স্পটে এখন থেকেই শুরু হয়েছে মন্ডপ তৈরির কাজ। কয়েকদিন পরেই এসব যায়গা ভরে উঠবে উজ্জ্বল আলোকসজ্জা আর কোলাহলে।
বান্দরবান জেলা দূর্গা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক লক্ষীপদ দাশ বলেন, বান্দরবান সদরে এবার প্রায় ২৭ টি পূজা মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। তবে মূল মন্ডপ হবে স্থানীয় রাজার মাঠে। প্রায় ১৫ লাখ টাকা খরচ হবে শুধু এই মন্ডপে। প্রতিমা তৈরি প্রায় শেষ পর্যায়ে, অন্যান্য প্রস্তুতিও শেষের দিকে। এখন শুধু অপেক্ষার পালা।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার দেবদাস ভট্টাচার্য্য জানান, ঈদ এবং দুর্গোৎসব কাছাকাছি সময়ে হওয়ায় জেলার সার্বিক আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে বিশেষ ব্যবস্থা হাতে নেয়া হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই জেলা পুলিশ তাদের নিরাপত্তা পরিকল্পনা শেষ করবে।