শিরোনামঃ

বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তার প্রধান যোগানদাতা হলো দেশের প্রান্তিক কৃষক – নিখিল কুমার চাকমা

সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তার প্রধান যোগানদাতা হলো দেশের প্রান্তিক কৃষক আর খাদ্য নিরাপত্তার অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে দারিদ্র্য বিমোচন। কিন্তু আমাদের কৃষক পুরনো ধারণা কৃষিতে প্রয়োগ করছেন। তাদের মধ্যে আধুনিক জ্ঞানের অভাব রয়েছে। প্রান্তিক কৃষকদের দারিদ্র্য বিমোচন, কৃষির উৎপাদনশীলতা বাড়ানো, উন্নত বাজারব্যবস্থা, উন্নত কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্ধুদ্ধ করতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা।

বৃহস্পতিবার রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ এবং সিএইচটিডিএফ-ইউএনডিপি’র যৌথ ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা প্রকল্প-২য় পর্যায় এর পরিচিতি ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধনী বক্তব্যে চেয়ারম্যান এ মন্তব্য করেন।

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ও জেলা প্রাণী সম্পদ ও কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের আহ্বায়ক বৃষকেতু চাকমার সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিদুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক উদয় শংকর মুৎসুদ্দী, রাঙামাটি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক নরেশ চন্দ্র বারই, সিএইচটিডিএফ-ইউএনডিপি’র প্রোগ্রাম অফিসার সুপ্রিয় ত্রিপুরা।--RHDC Picture 07-11-13-01

কর্মশালায় চেয়ারম্যান আরো বলেন, বিরাজমান পরিস্থিতির কারণে পার্বত্যঞ্চলের মানুষ অনেক পিছিয়ে ছিল কিন্তু বর্তমান সরকারের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় ১৯৯৭ সালে শান্তিচুক্তির ফলে পার্বত্যঞ্চলে শান্তি ফিরে এসেছে এবং এ অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর দারিদ্র বিমোচন এবং স্থায়িত্বশীল কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে ইউএনডিপিসহ বিভিন্ন দাতা সংস্থা বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে অবদান রেখে চলেছে।

দ্বিতীয় অধিবেশনে সঞ্চালকের ভ’মিকা পালন করেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইরফান শরীফ। তিনি বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা সৃষ্টিতে কৃষির অবদানের কথা তুলে ধরেন। ১৯৭১ সালে ৭কোটি জনসংখ্যা যখন ছিল তখন দেশের খাদ্য ঘাটতি ছিল ৩০ লক্ষ টন। বর্তমানে লোকসংখ্যা ১৬ কোটি হলেও দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং বাংলাদেশ খাদ্য রফতানীকারক দেশে উন্নীত হয়েছে। এর সবকিছুই সম্ভব হয়েছে আমাদের দেশের সাধারণ কৃষক এবং নিরন্তর কৃষি গবেষণা ও কৃষি বিভাগে কর্মরত কর্মকর্তাদের কারণে।
উল্লেখ্য, ডেনমার্ক সরকারের অর্থায়নে এবং ইউএনডিপি-সিএইচটিডিএফ এর মাধ্যমে এবং রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত ‘কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা প্রকল্প-২য় পর্যায়(২০১৩-২০১৮)’ তিন পার্বত্য জেলায় ৬১.৪ কোটি টাকায় ৫ বছরের জন্য পরিচালিত হবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে তিন পার্বত্য জেলার ২৫টি উপজেলায় ১৮০০ কৃষক মাঠ স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হবে। তন্মধ্যে রাঙামাটি জেলার ১০টি উপজেলায ৭২০টি কৃষক মাঠ স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হবে। এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামের পিছিয়ে পড়া জনসমষ্টিসমূহের দারিদ্র বিমোচন, সার্বিক উন্নয়ন ও স্থায়ীত্বশীল কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সমন্বিত খামার ব্যবস্থাপনায় কৃষক মাঠ স্কুলের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকদের পারিবারিক খামারের কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি।

অবহিতকরণ সভায় রাঙামাটি জেলার মৎস্য, কৃষি, প্রাণীসম্পদ বিভাগ, কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন, মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন, ইক্ষু গবেষণা ইনষ্টিটিউট, মৃত্তিকা সম্পদ ইনষ্টিটিউট, বিশ্ব খাদ্য সংস্থা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, ইউএনডিপিসহ এনজিও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

Print Friendly, PDF & Email

Share This:

খবরটি 306 বার পঠিত হয়েছে


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Time limit is exhausted. Please reload CAPTCHA.

ChtToday DOT COMschliessen
oeffnen