সিএইচটি টু ডে ডট কম।
সম্প্রচারের অপেক্ষায় থাকা দীপ্তবাংলা ঠিক কবে নাগাদ দর্শকের সামনে আসতে পারবে সে বিষয়টি এখনও পরিস্কার নয়। চ্যানেলটিতে জনবল নিয়োগ এখনও শুরু হয়নি। শেষ হয়নি যন্ত্রপাতি সংস্থাপনের কাজও। এ কারণে পূর্ণাঙ্গ সম্প্রচারের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। আগামী ২৪ অক্টোবর শেষ হচ্ছে বর্তমান মহাজোট সরকারের মেয়াদ। মেয়াদ পূর্তির আগে এ সরকারের সময় অনুমোদন পাওয়া দুই চ্যানেল দীপ্তবাংলা আর গানবাংলা যে সম্প্রচার শুরু করতে পারছে না সে বিষয়টি এখন স্পষ্ট।
জনবল চেয়ে মাস দুয়েক আগে বিজ্ঞাপন দিয়েছিল দীপ্তবাংলা। কিন্তু বিজ্ঞাপন দেবার পরও চ্যানেলটি সেভাবে সারা পায়নি।এরমধ্যে সরকারি অনুমোদন পেয়ে যমুনা টেলিভিশন মাঠে নেমে যাওয়ায় বিপাকে পরে এ চ্যানেলটি। পাশাপাশি চ্যানেল নাইন আর এশিয়ান সংবাদ শুরুর ঘোষণা দেয়ায় জনবল নিয়ে সমস্যায় পরেছে দীপ্তবাংলা। সম্প্রতি চ্যানেল নাইন-এ যোগ দেয়া বার্তা প্রধান আমিনুর রশীদের সঙ্গে কথাবার্তা অনেকটাই এগিয়ে রেখেছিল দীপ্তবাংলা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সিদ্ধান্ত গ্রহণে কর্তৃপক্ষের দীর্ঘসূত্রিতা আমিনুর রশীদকে বিকল্প সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করে।
আমিনুর রশীদকে না পেয়ে দীপ্তবাংলা বিকল্প বার্তা প্রধানের সন্ধানে মাঠে নামে। এখনও পর্যন্ত একাধিক সংবাদকর্মীর সঙ্গে তারা এ বিষয়ে কথা বলেছেন। তবে বার্তা প্রধান হিসেবে কাউকে চূড়ান্ত করা হয়েছে কিনা জানা যায়নি।
এদিকে, বিভিন্ন বিভাগের প্রধান নিয়োগ না করায় ঝুলে গেছে অন্যান্য নিয়োগ প্রক্রিয়াও। তাছাড়া দীপ্তবাংলার পরে যমুনা বিজ্ঞাপন দেয়ায় আগ্রহীরাও চিন্তা-ভাবনার জন্য সময় নিতে চান। দীপ্তবাংলা তাদের সাক্ষাৎকারের জন্য না ডাকায় এ সুযোগটা পাচ্ছেন আবেদনকারীরা। শোনা যাচ্ছে, যমুনার নিয়োগ প্রক্রিয়া অক্টোবরের মধ্যে শেষ হবে। চ্যানেলটিতে বেশিরভাগ কর্মী যোগ দেবেন নভেম্বরে। এরপরেই আসলে দীপ্তবাংলা নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে চায়।