সিএইচটি টুডে ডট কম, রামগড় (খাগড়াছড়ি)। আগামীকাল সোমবার পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৬ বছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনকে ঘিরে ইতিমধ্যেই জেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এর আগে ১৯৯৮ সনে পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরের পর অস্ত্রজমাদান অনুষ্ঠানে এসেছিলেন তিনি। খাগড়াছড়ি সফরকালে তিনি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ছাড়াও ঐতিহাসিক খাগড়াছড়ি ষ্টেডিয়াম মাঠে জেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন ।
এদিকে ১৮ দলীয় জোটের টানা ৮৪ ঘন্টা ও পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের ডাকা সোমবারের হরতাল প্রত্যাহার বা শীথিল না করায় পাল্টাপাল্টি হরতালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশে যোগদান কে কেন্দ্র করে রামগড়সহ খাগড়াছড়ির বিভিন্ন উপজেলার জন সাধারনের মধ্যে উদ্বেগ উৎকন্ঠা দেখা গেছে।
এদিকে হরতাল সফল করতে রামগড়-খাগড়াছড়ি সড়কের রামগড় সদর হইতে জালিয়া পাড়া এলাকা পর্যন্ত ইউপিডিএফ সমর্থিত পিসিপি’র পূর্বের কর্মসূচীগুলো বাস্তবায়ন করতে তৎপর থাকতে দেখা গেছে।
রামগড় উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, প্রধানমন্ত্রীর খাগড়াছড়ি আগমন উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামী ও অঙ্গ সংগঠনের প্রায় শতাধিক ছোট বড় গাড়ি সমাবেশে যোগ দেবেন, তাছাড়া হরতালের বিষয়ে জনতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, যেখানে প্রধানমন্ত্রীর সফর সেখানে সকল প্রতিকুলতার মধ্যদিয়ে রামগড় বাসী সমাবেশে যোগদান করবেন।
হাফছড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর জানান, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে রামগড় হইতে জালিয়া পড়ায় পিকেটিং ছাড়াই শান্তিপূর্ণ হরতাল পালন হবে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুরোধের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর সফর যে শান্তিপুর্ন হয় সে জন্য রোববার এবং সোমবার স্থানীয় নেতা কর্মীদের পিকেটিং বা যানবাহনে চলাচলে বাধা প্রদান না করতে বলা হয়। যদি কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে তাহলে এর জন্য অন্য হরতাল আহবানকারীরা দায়ী থাকবে।
রামগড় থানা অফিসার ইনচার্জ জোবায়ের আলম জানান, প্রধানমন্ত্রীর সফর যেন শান্তিপুর্ন হয় এবং যারা সমাবেশে যাবেন তারা যেন নিরাপদে ফিরতে পারেন সে জন্য পুলিশ ও বিজিবির অতিরিক্ত সদস্য বিভিন্ন স্পটে মোতায়েন করা হবে।