সিএইচটি টুডে ডট কম ডেস্ক। সিপিবি ও বাসদ নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রীর কাছে ঢাকায় সভা-সমাবেশের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে তা প্রত্যহারের অনুরোধ করেন।
কোন ধরনের সরকারের অধীনে নির্বাচন হওয়া উচিত, সে বিষয়ে ত্রয়োদশ সংশোধনী সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে যে পরামর্শ দেয়া হয়েছে ( অন্তত দুই টার্ম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন) তা অনুসরণ এবং সংশোধিত আরপিও বাতিলের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে সুপারিশ করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ (খালেকুজ্জামান)।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপে তারা এই সুপারিশ করে। ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি নিয়ে সংলাপে অংশ নেয় সিপিবি ও বাসদ। সংলাপ শেষ হয় রাত সাড়ে নয়টায়। এরপর রাতের খাবার খান আওয়ামী লীগ, সিপিবি ও বাসদের নেতারা।
বৈঠকে সিপিবি-বাসদের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, প্রেসিডিয়াম সদস্য হায়দার আকবর খান রনো, বাসদ সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, সিপিবির উপদেষ্টা মনজুরুল আহসান খান, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ জাফর আহমেদ, সিপিবির নেতা শামছুজ্জামান সেলিম, লক্ষী চক্রবর্তী, অনিরুদ্ধ দাস, সাজ্জাদ জহির চন্দন, রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদের নেতা বজলুর রশিদ ফিরোজ, জাহেদুল হক মিলু , রাজেকুজ্জামান রতন ও রওশন আরো রুশো ।
আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরী, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, নূহ-উল আলম লেনিন প্রমুখ।
সিপিবি-বাসদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে বলা হয়, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ও ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’নিশ্চিত করার বিষয়টি শুধু আওয়ামী লীগ বা বিএনপির ইস্যু নয়, এটি প্রধানত পুরো দেশবাসী ও সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের ইস্যু। নির্বাচনী ব্যয় ১৫ লাখ থেকে ২৫ লাখ টাকা, জামানত ১০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা এবং গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে সংশোধনী এনে দলবদল করা, সামরিক-বেসামরিক আমলা ও কালো টাকার মালিকদের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পথ সুগম করা হয়েছে। আমরা এই সংশোধনী বাতিল করার সুপারিশ করছি।”
এছাড়া বৈঠকে অবিলম্বে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত ও রায় দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য দাবি জানানো হয়।