সিএইচটি টুডে ডট কম,খাগড়াছড়ি। খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি, মাটিরাঙ্গা ও দীঘিনালা উপজেলা থেকে ইউপিডিএফ সমর্থিত গণতান্ত্রিক যুব ফোরামসহ সহযোগী সংগঠনের ১৩ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। থানায় মামলা দায়েরে এর ২৬দিন পর আসামী আটকের অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।
গত ১১ নভেম্বর সোমবার খাগড়াছড়ির স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় আসতে ইউপিডিএফ নেতাকর্মীদের বাধাঁ প্রদান, গাড়ীতে অগ্নিসংযোগ, গুলি বর্ষন, সেতুর পাটাতন উপড়ে ফেলা, হুমকি, ভাংচুর ও রাষ্ট্রীয় কাজে বাধা দেয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলা তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
মহালছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ূন তিনজনকে অআটকের কথা স্বীকার করেন। মহালছড়িতে আটককৃতরা হলেন, গণতান্ত্রকি যুব ফোরামের মহালছড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি পলাশ চাকমা, সাংগঠনিক সম্পাদক নির্দশন চাকমা ও সদস্য পুতুল চাকমা।
দীঘিনালা থানার ওসি শাহাদাত হোসেন টিটু ৭ জনকে আটকের কথা স্বীকার করেন। দীঘিনালায় আটককৃতরা হলেন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের দিঘীনালা কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক রূপেন্দু চাকমা, সাংগঠনিক সম্পাদক জহেল চাকমা ও দপ্তর সম্পাদক জীবন চাকমা, শান্তিপুর স্কুল কমিটির সভাপতি কমল চাকমা, বাঘাইছড়ি থানা শাখার সদস্য নিরব চাকমা ও যুব ফোরামের সদস্য নন্টু চাকমা।
ইউপিডিএফ’র পক্ষ থেকে এ আটকের ঘটনার জন্য সেনাবাহিনীকে দায়ী করা হয়েছে। তারা নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবী জানান।
উল্লেখ্য , প্রধানমন্ত্রীর জনসভা,রাষ্ট্রীয়কাজে বাঁধাদান ও যানবাহন ভাংচুরের ঘটনায় গত ১৪ নভেম্বর জেলার ৭টি থানায় ১৬টি মামলা দায়ের করে পুলিশ ও ক্ষতিগ্রস্থরা। মামলাগুলোতে ইউপিডিএফের জেলা উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নামসহ অজ্ঞাত ৫ শতাধিক ব্যক্তিকে আসামী করা হয়েছে।
জানাগেছে, সদর থানায় ৫টি, মহালছড়ি থানায় ১টি, দীঘিনালা থানায় ৪টি, মাটিরাঙ্গায় ১টি, গুইমারায় ২টি, পানছড়ি থানায় ২টি মামলা রুজু হয়েছে।