সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর খাগড়াছড়ির জনসভা ভণ্ডুলের চেষ্টার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ-বিএনপির মধ্যে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের তীর ছোড়াছুড়ি চলছে। অবরোধ ডেকে হামলা চালিয়ে এক এসএসি পরীক্ষার্থীর চোখ হারানোসহ ব্যাপক গাড়ি ভাঙচুর, ব্রিজের পাটাতন তুলে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। জনসভায় ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী বাধা প্রদানকারীদের দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। পরেরদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজেক থানা উদ্বোধনকালে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছিলেন।
এরই প্রেক্ষিতে ১৬টি মামলা দায়ের করা হয় ৫শতাধিক ব্যাক্তিকে আসামী করা হয়। এর মধ্যে পুলিশ ধরপাকড় শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার জেলা আওয়ামী লীগের এক পর্যালোচনা বৈঠক শেষে দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এস এম শফি জানান, জনসভা ভণ্ডুল করতে পুলিশের রিকুইজেশন করা একটি চাঁদের গাড়ি (জিপ) জ্বালিয়ে দেয়াসহ ১২টি জিপ ও ৩৬টি গাড়ি ভাঙচুর ,আটজন পরিবহণ শ্রমিক ও ছয়জন দলীয় কর্মীকে আহত করা হয়েছে। তারা এ ঘটনার জন্য বিএনপিসহ আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ইউপিডিএফ কে দায়ী করে প্রতিটি ঘটনার জন্য আলাদা আলাদাভাবে মামলা করার কথা জানিয়েছেন।
পুলিশ সুপার শেখ মিজানুর রহমান জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বৈঠকে ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে বলে জানান।
অন্যদিকে, জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর সফরের সময় অঘোষিতভাবে হরতাল শিথিল ও শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালনের কথা জানিয়ে হামলার ঘটনায় তাদের জড়ানোর চেষ্টার প্রতিবাদ জানান। জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মিল্লাত – ইউপিডিএফ’র হামলার ঘটনায় মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপির নেতা কর্মীদের হয়রানি ও দায় চাপানোর চেষ্টা করা হলে অবরোধসহ স্থানীয়ভাবে কর্মসূচির হুমকি দেন।