সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। খাগড়াছড়ি জেলা সদরে প্রতিপক্ষের গুলিতে দীলিপ কুমার চাকমা ওরফে বিনয়(৪২) এক ইউপিডিএফ কর্মী নিহত হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জেলা সদরের হরিনাথ পাড়া এলাকায় ওঁৎ পেতে থাকা দূর্বৃত্তদের গুলিতে ঘটনাস্থলে সে নিহত হয়। দীলিপ কুমার চাকমা পানছড়ি উপজেলার পূজগাং মুনিপুর গ্রামের সন্তোষ চাকমার ছেলে।
ইউপিডিএফ(প্রসিত) গ্রুপের মুখপাত্র নিরন চাকমা বলেন, নব্যসৃষ্ট মুখোশ বাহিনী(ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক) এর সন্ত্রাসীরা দীলিপ কুমার চাকমাকে গুলি করে হত্যা করেছে। সে সাংগঠনিক কাজে রাঙাপানি ছড়া এলাকায় অবস্থান করছিল।
অন্যদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) গ্রুপের সদস্য সচিব জলেয়া চাকমা জানান, ইউপিডিএফর অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে এই হত্যাকা- হতে পারে। এর সাথে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিকের কোন সম্পৃক্ততা নাই।
খাগড়াছড়ি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) তারেক মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলের দিকে গিয়েছে।
ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ)-এর খাগড়াছড়ি জেলা ইউনিটের প্রধান সংগঠক সচিব চাকমা সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে আজ শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮) সকালে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার হরিনাথ পাড়ায় সেনাবাহিনীর লোলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসী কর্তৃক দিলীপ কুমার চাকমা ওরফে বিনয় (৪২) নামে এক ইউপিডিএফ সদস্যকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনাকে কাপুরুষোচিত উল্লেখ করে বলেন, রাজনৈতিক ও আদর্শিকভাবে ইউপিডিএফ-কে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে সন্ত্রাসী দিয়ে ইউপিডিএফ’র নেতা-কর্মীদের হত্যায় মেতে উঠেছে।
বিবৃতিতে তিনি অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১৫ নভেম্বর ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক আত্মপ্রকাশের পর ইউপিডিএফ সংগঠক মিঠুন চাকমার পর ইউপিডিএফ(প্রসিত) গ্রুপের দুইজন নিহত হয়েছে। এছাড়া গত ২৬ জানুয়ারী খাগড়াছড়ি দীঘিনালা সড়কের চার মাইল এলাকায় শান্তিময় চাকমা নামে এক কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়। এসব ঘটনার জন্য ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপ গণতান্ত্রিক গ্রুপকে দায়ী করে আসছে।