সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। মৈত্রী, করুনা, দানশীল, জীবসেবা ও পরোপকারীর মাধ্যমে পূর্ণ্য সঞ্চয় করে ও ধর্মীয় চেতনাকে মনে লালন করে সমাজ, জাতি ও দেশের আপামর জনগনের কল্যানে সবাইকে এগিয়ে আসার উদাত্ত্ব আহ্বান জানান রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা।
মঙ্গলবার রাঙামাটি কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়েনর বৈজয়ন্ত বনবিহারের ১২তম কঠিন চীবন দানোৎসবে প্রধান অতিথির ভাষনে চেয়ারম্যান এ আহ্বান জানান।
ধর্মীয় অনুষ্ঠানে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য অংসুই প্র“ চৌধুরী, কাউখালী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংছাপ্র“ মারমা, ভাইস চেয়ারম্যান অর্জুন মনি মারমা’সহ মন্দির পরিচালনা কমিটির সকল সদস্য, জনপ্রতিনিধি দায়ক দায়িকা ও পূর্নাথীরা উপস্থিত ছিলেন।
ধর্মীয় সঙ্গিতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের প্রারম্ভ হয়। পরে পঞ্চশীল গ্রহণ, চীবর দান, কল্পতরু দান, বুদ্ধ মূর্তিদান ও ধর্ম দেশনা করা হয়। অনুষ্ঠানে ধর্মীয় দেশনা পাঠ করেন রাঙামাটি রাজ বনবিহারের বনভান্তের শিষ্যসংঘ ও আবাসিক প্রধান ভদন্ত শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির।
অনুষ্ঠানে চেয়ারম্যান আরো বলেন, বর্তমান সরকার সব ধর্মের মানুষের জীবনে শান্তি ফিরিয়ে এনেছে। সকল ধর্মের মানুষের সামাজিক শান্তি ও সহ-অবস্থানের ভিত্তিতে একটি ধর্ম নিরপেক্ষ বাংলাদেশ গড়ে তোলায় বর্তমান সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকার।
তিনি আগামীতে কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়েনর বৈজয়ন্ত বনবিহারের ভিক্ষুদের ভোজনালয় নির্মানের প্রতিশ্র“তি দেন।