সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা বলেছেন, পাহাড়ের প্রান্তিক মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই হবে আমাদের মূল চ্যালেঞ্জ। আর এগুলোকে মাথায় রেখেই আমাদের উন্নয়ন-কৌশল ঠিক করতে হবে।
রোববার রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে আর্ন্তজাতিক দাতা সংস্থা বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচী-র (ডব্লিউ এফ পি)’র আয়োজনে হিউমেনিটোরিয়ান এইড এন্ড সিভিল প্রোটেকশান এন্ড হেলেন কেলার এর সহযোগিতায় পার্বত্য চট্টগ্রামের নির্বাচিত ইউনিয়নগুলোতে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা শক্তিশালীকরণে অংশীদারীত্বমূলক কৌশল নির্ধারণ শীর্ষক ২দিন ব্যাপী এক আঞ্চলিক সমন্বয় কর্মশালার উদ্ধোধনী বক্তব্যে চেয়ারম্যান একথা বলেন।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোঃ মোস্তফা কামাল, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য ডাঃ নিলু কুমার তংচ্ঙ্গ্যা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য অংসুই প্রু চৌধুরী, ডব্লিউ এফ পি, ঢাকা হেড অব প্রোগ্রাম জিমি রিচার্ডসন, হেড অব সাউর্দান অপারেশন সাঈদ এস আরেফিন প্রমুখ।
চেয়ারম্যান আরো বলেন, খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সরকারের এ আন্তরিকতাকে কাজে লাগিয়ে এবং সকলের সম্মিলিত চেষ্টাতেই খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি এ অঞ্চলের মানুষের পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি ডব্লিউ এফ পি বলিষ্ট ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি নির্ধারণে তিন পার্বত্য জেলার ১২টি উপজেলার মোট ২৪টি ইউনিয়নের প্রান্তিক মানুষের ওপর পরিচালিত গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্যাবলী তুলে ধরেন ডব্লিউ এফ পি’র কর্মকর্তা মিস ঊষা। পর্যায়ক্রমে পার্বত্য অঞ্চলের ঋতুভিত্তিক খাদ্য ঘাটতি পুরণে এ ধরনের জরিপ আরো চালানো হবে বলে তিনি জানান। পার্বত্য জেলার গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ বর্তমানে পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। তিনি এ সমস্যা নিরসনে কী কী কৌশল নির্ধারণ করা হবে এটিই এ কর্মশালার প্রধান উদ্দেশ্য বলে জানান।
২দিনব্যাপী এ কর্মশালায় জেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।