ডিসেম্বরসিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি আনায়ন ও এই অঞ্চলের মানুষের জীবন মানোন্নয়নে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সাহার্য্য সংস্থা ইউএসএইড সহায়তা অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সা বার্ণিকাট। তবে এজন্য সবাইকে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে। শান্তি ও সম্প্রীতি না থাকলে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।
রাঙামাটি ও বান্দরবান সফরের প্রথম দিনে আজ সোমবার দুপুরে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় ওরফে সন্তু লারমার সাথে বৈঠকে আলাপকালে এসব কথা বলেন। বৈঠক সুত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
বৈঠকে মার্কিন রাষ্ট্রদুতের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলটি ছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য গৌতম কুমার চাকমা, নুরুল আলম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা সুবর্ণা চাকমা উপস্থিত ছিলেন। দুপুর ২টা থেকে বেলা ৩টা ৩৫মিনিট পর্যন্ত চলে এই বৈঠক।
বৈঠকে আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান সন্তু লারমা রাষ্ট্রদুতকে জানান, ১৯৯৭ সনের ২রা ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সদস্যরা শান্তি চুক্তির মাধ্যমে অস্ত্র জমা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসলেও সরকার ২০ বছরেও শান্তি চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করেনি। জেএসএসের একটাই দাবি শান্তি চুক্তি পুনাঙ্গ বাস্তবায়ন করা হোক। শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ায় নানা সমস্যার উদ্রেক হচ্ছে বলে তিনি রাষ্ট্রদুতকে জানান।
এসময় মার্কিন রাষ্ট্রদুত জানান, সরকারের উচ্চ পর্যায়ে কথা হয়েছে তারা চুক্তি বাস্তবায়নে আন্তরিক, তবে একটু সময় লাগছে। তিনি আরো বলেন, দাতা সংস্থাগুলো পার্বত্য এলাকায় তাদের উন্নয়ন কাজ অব্যাহত রাখতে চায় এজন্য সবাইয়ের আন্তরিকতা প্রয়োজন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদে চেয়ারম্যানের সাথে বৈঠকের পর প্রতিনিধি দলটি জেলা প্রশাসক একেএম মামনুর রশীদের সাথে বৈঠক করেন।
এর আগে সকালে মার্কিন রাষ্ট্রদূত চাকমা সার্কেল চীফ রাজা ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন।
রাঙামাটি সফর শেষে প্রতিনিধি দলটির বান্দরবান যাওয়ার কথা।