সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি।
খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলায় ছাত্রীকে উত্যক্ত করার দায়ে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি জরিমানা ও সাদা কাগজে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষককে। এ ঘটনায় এলাকার অভিভাবক-সচেতন মহল ও শিক্ষার্থীদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা যায়, পানছড়ি ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার ইংরেজী শিক্ষক মোঃ নুরুল ইসলাম দীর্ঘদিন যাবৎ ইংরেজী প্রাইভেট পড়ানোর নামে ছাত্রীদের একা রেখে অশালীন আচরণ ও উত্যক্ত করে আসছে। সম্প্রতি ঐ মাদ্রাসার এক ছাত্রীকে বাড়িতে একা প্রাইভেট পড়তে বলে এবং কুরুচিপূর্ণ কথা বলে উত্যক্ত করে। ঐ ছাত্রী তাৎক্ষনিক মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপালকে অবগত করালেও এর কোন বিচার না পেয়ে বান্ধবীদের অবগত করে। এরই ধারাবাহিকতায় অসৎ চরিত্রের ঐ শিক্ষক একাদশ শ্রেণীর জনৈক ছাত্রীকে বিভিন্ন সময়ে মোবাইল ফোনে তার বাসায় আসার জন্য বলে এবং কুরুচিপূর্ণ কথা বলে। ছাত্রীটি কৌশলে ঐ শিক্ষকের কুরুচিপূর্ণ কথাগুলো রেকর্ড করে তা অভিভাবক ও সহপাঠিদের অবগত করলে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়।
এরই পরিপেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সকালে অভিযুক্ত শিক্ষক মোঃ নুরুল ইসলাম মাদ্রাসার অপর দুই শিক্ষক আবুল কাশেম ও জামাল উদ্দিন -কে সাথে নিয়ে জনৈক ঐ ছাত্রীর বাড়ীতে গিয়ে গটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য অনুরোধ করে।
ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ হতে বিষয়টি মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি বাহার মিয়াকে জানানো হলে তাৎক্ষনিক পানছড়ি মাদ্রাসার অধ্যক্ষের কার্যালয়ে বসে অভিযুক্ত শিক্ষক নুরুল ইসলামকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও সাদা কাগজে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়। এ ঘটনায় স্থানীয় অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে মাদ্রাসা আঙ্গিনা ত্যাগ করে।
এ বিষয়ে পানছড়ি ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ জাকির হোসাইন বলেন, প্রাথমিকভাবে ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তবে সে আর এ ধরনের কিছু করবেনা মর্মে মুচলেকা দেওয়ায় জরিমানা করে তাকে ছেঁড়ে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক মোঃ নুরুল ইসলামের মুঠোফোনে ফোন দিলে তার মুঠো বন্ধ পাওয়া যায়।
বান্দরবানে হস্তশিল্পের এক নিপুন কারিগর হ্নং ফ হ্রী