শাহ আলম, সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটি শহরে পর্যটকদের প্রধান আকর্ষন ঝুলন্ত সেতু। সাধারণত রাঙামাটি এসে এই ঝুলন্ত সেতু না দেখে কেউ ফেরত যায় না। রাঙামাটি শহরের শেষপ্রান্তে কাপ্তাই লেকের একাংশে এই ব্রিজটি পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষনীয় স্পট।
গত ১৩ জুন রাঙামাটিতে পাহাড় ধব্বসের কারনে পর্যটকরা আতংকিত থাকায় তেমন পর্যটকের সমাগম ছিল না রাঙামাটিতে। কিন্তু শীত যেন আশির্বাদ হয়ে এসেছিল পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের জন্য। তাই বেশ কয়েক মাস ধরে সরকারি নানা বন্ধে পর্যটকদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠছে পর্যটন শহর রাঙামাটি।
ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশ বিদেশের ভ্রমন পিপাসুরা পরিবার পরিজন নিয়ে ভিড় জমিয়েছে পর্যটন শহর রাঙামাটিতে।
ছুটির দিনে আজ শক্রবার বিকালে সরেজমিনে গিয়ে পর্যটকদের এই ভরা মৌসুমে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে পাহাড়ী কন্যা ফুল কুমারীর রাঙামাটির ঝুলন্ত ব্রিজে দূর দুরান্ত থেকে আসা হাজারো পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত ছিল।
সাধারণত রাঙামাটির এই সেতুটিকে বলা হয়, রাঙামাটির আইকন। নয়নাভিরাম বহুরঙা এই ঝুলন্ত সেতুটি দুইটি বিচ্ছিন্ন পাহাড়ের মধ্যে গড়ে দিয়েছে হৃদয়ের সম্পর্ক। সেতুটি পারাপারের সময় সৃষ্ট কাঁপুনি আপনাকে এনে দেবে ভিন্ন আমেজ। এখানে দাঁড়িয়ে কাপ্তাই হ্রদের মনোরম দৃশ্য অবলোকন করতে পারবেন। কাপ্তাই হ্রদের সৌন্দর্যে আপনি মুগ্ধ হতে বাধ্য।
রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের সহকারি ব্যবস্থাপক সূর্য সেন ত্রিপুরা বলেন, এই ভরা মৌসুমে আমরা পর্যটকের ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। এখনো তা অব্যাহত রয়েছে। আমাদের হোটেল মোটেলে এখন শতভাগ বুকিং রয়েছে। আমাদের এখানে প্রতিদিন গড়ে ১৫০০-২০০০ পর্যটকের দেখা পাচ্ছি। আমরা পর্যটকদের সুবিধার্থে ২০% ডিসকাউন্ট দিয়েছি। পাহাড় ধ্বসের ক্ষতি ধীরে ধীরে কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।