সিএইচটি টুডে ডট কম,রাঙামাটি। পার্বত্য সম অধিকার আন্দোলন একাংশের সাধারন সম্পাদক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এড. আবছার আলী নির্বাচনে সম অধিকার আন্দোলনের বিরোধের জের ধরে নিরাপত্তহীনতায় ভুগছেন বলে দাবী করেছেন। তিনি কাউকে এজেন্ট নিয়োগ না করলেও এজেন্টের নাম ব্যবহার করে ভোটারদের একটি চক্র বিভান্তিকর পরিস্থিতে ফেলছে বলে দাবী করেছেন।
আনারস প্রতীকের প্রার্থী আবছার আলীর দাবি-‘ আমার নির্বাচন পরিচালনার এজেন্ট একমাত্র আমি নিজেই,আমি অন্য কাউকে নির্বাচনের জন্য কোন এজেন্ট নিয়োগ করি নাই’। কিন্তু আবছার আলীর ‘এজেন্ট ও প্রধান নির্বাচন সমন্বয়ক’ হিসেবে নিজেকে দাবি করে নবগঠিত রাজনৈতিক দল বিএনএফ এর রাঙামাটি জেলা আহ্বায়ক কাজী মোঃ জালোয়া সাংবাদিক সম্মেলন করে নিজে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে বলেছেন,-‘ আবছার আলীর ব্যক্তিগত নির্বাচনের কারণে জাতীয় রাজনীতির বাইরে পার্বত্য এলাকার একটি উগ্র সম্প্রদায়ের জয় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে বাঙালি সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।’ তাই আমি আবছার আলীর নির্বাচনী এজেন্ট হতে পদত্যাগ করলাম এবং যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দেয়ার আহবানও জানাই ভোটারদের কাছে।
নির্বাচনে মাত্র চারদিন আগে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলনের রাঙামাটি জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক মোঃ আবছার আলী ও তার তার নির্বাচনের প্রধান সমন্বয়ক দাবিদার কাজী মোঃ জালোয়ার পরস্পরের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে আবার আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী আবছার আলী জানিয়েছেন,কাজী মোঃ জালোয়া তার এজেন্ট তো দূরের কথা,কর্মীও নন।
এদিকে কাজী জালোয়ার সংবাদ সম্মেলনের আগ মুহুর্তে দেয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থী আবছার আলী জানিয়েছেন,একটি বিশেষ মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে অপপ্রচার চালাচ্ছে। কিন্তু কোন বাধার মুখে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন না জানিয়ে বলেছেন,সংবাদ সম্মেলনে যেসব বক্তব্য দেয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা,ভিত্তিহীন ও আমাকে হেয় করার ষড়যন্ত্র। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এডভোকেট আবছার আলী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও দাবি করে রাঙামাটিবাসীকে যার যার অবস্থান থেকে ভোট দিতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ও আনারস প্রতীকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত,একসময় জাতীয় শ্রমিক লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত কাজী মোঃ জালোয়া মাঝে বিএনপিতে যোগ দেন। পরে আবার বাঙালীভিত্তিক সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলনে সক্রিয় হন। কিছুদিন পর সেটি ছেড়ে পার্বত্য যুব ফ্রন্টের উপদেষ্টার দায়িত্ব নেন।