সিএইচটি টুডে ডট কম ডেস্ক। গতকাল নানিয়ারচরে ইউপিডিএফ দুগ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় বাঙালী গৃহবধু গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদ। আজ সন্ধ্যায় বাঙালী ছাত্র পরিষদের জেলা কমিটির আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম ও যুগ্ন সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব এক বিবৃতিতে এই দাবি জানান।
বিবৃতিতে তারা বলেন, পাহাড়ের সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর বেপরোয়া সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে পাহাড়ের মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাপন অসহনীয় হয়ে উঠছে। সন্ত্রাসীরা একের পর এক সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়েই যাচ্ছে তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পাহাড়ের আঞ্চলিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী বিবাদমান দুটি সংগঠনের বন্ধুকযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন এক গৃহবধু, আছিয়া বেগম(৪৫) নামে ঐ বাঙালী গৃহবধু হত দরদ্রি পরিবারের তিন সন্তানের জননী। রোববার সন্ধ্যায় নানিয়ারচর আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকায় পাহাড়ী দুই গ্রুপের গুলি বিনিময় ঘঠনায় নিজ পায়ে গুলিবিদ্ধ গৃহবধুটি রাঙামাটি সদর হাসপাতে যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে। পায়ের হাটুর জোড়াস্থলে বুলেটটি ডুকে পড়ায় পঙ্গু হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পার্বত্য চট্রগ্রামে আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠনগুলোর সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে ও কিছুদিন পর পর গুলি বিনিময়ের ঘঠনায় পাহাড়ের সর্বত্র বিরাজ করে আতংক, সন্ত্রাসী সংগঠন গুলো পাহাড়ের নিরীহ বাঙালী উপজাতী সকলকেই নির্যাতন করছে, অপহরণ গুম খুন হত্যা চাঁদাবাজী চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলা নববর্ষের আগের দিনও এক নিরীহ বাঙালীর লাশ পাওয়া যায় নানিয়ারচরে, তাকেও হত্যা করেছিল সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো । এর আগে খাগড়াছড়িতে ইতি চাকমাকেও হত্যা করে সন্ত্রাসী সংগঠনের এক নেতা, এভাবে আঞ্চলিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো বিশাখা চাকমা, মোহনী ত্রিপুরা, নয়ন, রবিউল, অব: সার্জেন্ট মুকুল চাকমা, বালাতি ত্রিপুরা,শান্ত, যুবলীগ নেতা অরবিন্দু চাকমা সহ অসংখ্য পার্বত্য বাসীকে হত্যা করেছে পাহাড়ের সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো। এসব অস্ত্রধারী সশস্ত্র গ্রুপ গুলোর কাছে পাহাড়ের সকল সম্প্রদায় অসহায়, সকলেই নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। পাহাড়ের সাম্প্রদায়িক সম্প্রিতী নষ্ট করছে আঞ্চলিক অবৈধ অস্ত্রধারী সংগঠনগুলো। পাহাড়ে শান্তির জন্য অবিলম্বে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
বিবৃতিতে পাহাড়ের সন্ত্রাসী দুই গ্রুপের গুলিবিনিময়ের সময় আছিয়া বেগম গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখার পক্ষ হতে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সন্ত্রাসীদের আগামী ৭২ ঘন্টার ভিতর গ্রেফতারের জোর দাবী জানানো হয় অন্যথায় পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদ পার্বত্য বাসীর নিরাপত্তার দাবীতে কঠোর কর্মসূচী ঘোষনা করতে বাধ্য হবে বলে হুশিয়ারি উচ্ছারন করা হয়।