সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মুছা মাতব্বর বলেছেন, হত্যার চেষ্টায় আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের উপর একের পর এক হামলা করা হচ্ছে। আমরা বলতে চাই, আর প্রতিবাদ করবো না, আমরা প্রতিবাদের ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। আমরা এখন প্রতিশোধ নিবো। রক্তের বদলে রক্ত, খুনের বদলে খুন। আমরা অনেক ধৈর্য্য ধরেছি আর নয়। প্রশাসনকে বার বার বলা সত্ত্বেও আমাদের কথা রাখছে না। এখনো পর্যন্ত মূল আসামীদের প্রশাসন গ্রেফতার করতে পারেনি।
তিনি জেএসএসকে জঙ্গি সংগঠন আখ্যা দিয়ে জামায়াত-শিবিরের যেভাবে রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে, সেভাবে জেএসএস কে রাজনীতির মাঠ থেকে নিষিদ্ধ করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।
আমরা পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি চাই কিন্তু জেএসএস কর্তৃক বার বার হামলার স্বীকার হচ্ছে আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা। এখন থেকে হামলার পাল্টা জবাব দেওয়া হবে বলে হুশিয়ারী দেন তিনি।
রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার ফারুয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিশ^রায় তঞ্চঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
জেলা যুবলীগের সভাপতি আকবর হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নুর মোহাম্মদ কাজলের সঞ্চালনায় জেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক শামছুল আলম, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল জব্বার সুজন বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে আকবর হোসেন চৌধুরী বলেন, একদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে বৈঠক করছেন আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান সন্তু লারমা অন্যদিকে যুবলীগের নেতা-কর্মীদের উপর গুলি করছেন সন্তু লারমা’র সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী। হামলা করা হয়, গুলি করা হয়। এ কেমন গণতন্ত্র ?
তিনি বলেন, আর প্রতিবাদ নয়, এখন প্রতিশোধ নিবো। অস্ত্রবাঁজি বাদ দিয়ে রাজপথে আসার আহব্বান জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে জেএসএস অস্ত্র বাজি শুরু করেছে। নির্বাচনে দেখা হবে। অস্ত্র বাঁজি গণতন্ত্রের গণভোটকে জেএসএস ঠেকাতে পারবে না।
রাঙামাটি পৌরসভা চত্ত্বর হতে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে শেষ হয়। পরে সেখানে সমাবেশে মিলিত হয় দলটি। এসময় ১ঘন্টা রাস্তা অবরোধ ছিলো।
প্রসঙ্গত: রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার ফারুয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিশ্বরায় তঞ্চঙ্গ্যাকে গুলি করেছে দুবৃত্তরা। বুধবার ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে ফারৃয়া বৈনছড়ি বৌদ্ধ মন্দিরে ঘুমিয়ে থাকার সময় সেখানে ১০/১৫জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ এলোপাথারি গুলি করে পালিয়ে যায়।