সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। সাবেক পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ীরা জেএসএস ও পিসিপি করলে সাত খুন মাফ হয়ে যায়, আওয়ামীলীগ করলে যত দোষ । কারণ এই দল করলে প্রশাসনের আড়ালে হোক কিংবা প্রকাশ্যে হোক চাঁদাবাজি, খুন খারাপী ও অবৈধ অস্ত্র নিয়ে চলা ফেরা করা যায়। এদের কাউকে সহজেই কিছু করা যায় না। এসব দেখে ছাত্রলীগের কিছু নেতা কর্মী অপকর্মের সাথে জড়িয়ে গেছে। তাদের হুশিয়ারী দিয়ে গণতান্ত্রিক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে সঠিক পথে আসার আহব্বান জানান।
পার্বত্য অঞ্চলের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবিতে আগামী ২৮জানুয়ারীতে মহাসমাবেশে ডাক দেওয়া হয়েছে। জেলা আওয়ামীলীগ সহ সকল সম্প্রদায়, সব শ্রেণিপেশার জনগণকে সাথে নিয়ে মহা সমাবেশে যোগদানের মাধ্যমে অবৈধ অস্ত্রেও বিরুদ্ধে সোচ্ছার হওয়ার আহব্বান জানান তিনি।
আজ রোববার দুপুরে দলীয় কার্যালয়ে রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির শুভেচ্ছা বিনিময় ও পরিচিতি সভায় তিনি এসব মন্তব্য করেন।
তিনি আরো বলেন, বাঙালী মানেই ছাত্রলীগ। বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পেছনে ছাত্রলীগের ভূমিকা অপরীসিম। ছাত্রলীগের একটি সুনাম ও ঐতিহ্য রয়েছে। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি আন্দোলনে ও মহান মুক্তিযুদ্ধেও ছাত্রলীগের অবদান রয়েছে। কিন্তু এখন আর আমার স্বৈরাচারী বিরোধী আন্দোলনের মত ছাত্রলীগকে খুজে পাই না।
দীর্ঘদিন পর জেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন হয়েছে। এটি যতটা আনন্দের ততটা দুঃখ জনকও। কারণ জেলা ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদন পেতে পেতে তাদেরও বিদায়ের ঘন্টা বেজে গেছে। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাউন্সিল অতি নিকটে। তাই রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগেরও কাউন্সিল হবে। জেলা ছাত্রলীগ কমিটি আর যতদিনই থাকুক না কেন, পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি সম্প্রীতি রক্ষার করা জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে যাওয়ার পরামর্শ দেন দীপংকর তালুকদার ।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল জব্বার সুজনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ চাকমার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মুছা মাতবর, যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক জমিস উদ্দিন বাবুলসহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
দীপংকর তালুকদার আরো বলেন, ছাত্রলীগ ছিল, আছে, থাকবে। ১৯৪৮ সাল থেকে শুরু করে খালেদা জিয়া হঠাও আন্দোলন পর্যন্ত ছাত্রলীগ প্রত্যেকটি ইতিহাসের সাক্ষী। ছাত্রলীগ ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। তাই তিনি পরস্পরের প্রতি ভুল বোঝাবুঝি ভুলে গিয়ে, প্রতিহিংসা ভুলে গিয়ে একটি সুন্দর পার্বত্য চট্টগ্রাম বিনির্মানে ও আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে সকল নেতা কর্মীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে যাওয়ার জন্য আহব্বান জানান।