সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। পার্বত্য চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করার জন্য জাতিসংঘের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি যৌথ মিশন রাঙামাটি সফরের অংশ হিসাবে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাঙামাটি পার্বত্য পরিষদ চেয়ারম্যানের সঙ্গে তাঁর অফিস কক্ষে সাক্ষাৎ করেন।
প্রতিনিধি দলের মধ্যে ছিলেন, ইউএন এইউস এর নাদিয়া রহমান, ইউনিসেফের ড. শাহনাজ বেগম, ডব্লিউ এইচও এর ড. কামার রেজওয়ান, কাজী আব্দুল হোসেইন আকরাম, টুটুল,ইউএনএফপির ড. সঞ্চয় কুমার চন্দ, ব্র্যাকের মুকতাদির কবীর, কাজী আল মামুন সিদ্দিকী, সেভ দ্য সিলড্রেনের মৌসুমী আমীন এবং ইউএনডিপি সিএইচটি প্রকল্পের শাহীন আক্তার।
প্রতিনিধিদলটি রাঙামাটি জেলার স্বাস্থ্য বিষয়ে বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। তারা জানান, সরকারি পর্যায়ে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের অধীনে সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়া ইউএনডিপি-র অর্থায়নে এবং পার্বত্য জেলা পরিষদের নেতৃত্বে একটি যৌথ স্বাস্থ্য কার্যক্রমও চলমান রয়েছে। তারা মূলত জানতে এসেছেন, জেলার স্বাস্থ্য কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য কি কি বাঁধা আছে এবং তা কিভাবে উত্তরণ পাওয়া যায় এ বিষয়ে ।
পরিষদ চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি (শান্তিচুক্তি) এবং পার্বত্য জেলা পরিষদ আইনের আলোকে জেলার সকল উন্নয়ন কার্যক্রম পার্বত্য জেলা পরিষদকে কেন্দ্র করে পরিচালিত হবে। এরই আলোকে সরকার ১৯৯০ সালে এ জেলার পরিবার পরিকল্পনা এবং স্বাস্থ্য কার্যক্রম পরিষদের হাতে ন্যস্ত করে। ইউএনডিপিও পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির আলোকে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ গুলির সাথে সমন্বয় রেখে স্বাস্থ্য কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ইতিমধ্যে ইউনিসেফ এবং ইউএনএফপিএফ পরিষদের সাথে কাজ শুরু করেছে। কিন্তু দাতা সংস্থার অর্থায়নে পরিচালিত ম্যালেরিয়া নির্মূল এর একটি প্রকল্প ব্র্যাক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সরাসরি বাস্তবায়ন করছে যা পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির সুষ্পষ্ট লংঘন।
চেয়ারম্যান দাতা সংস্থার প্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান রেখে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে পার্বত্য জেলা পরিষদের নেতৃত্বে সকল স্বাস্থ্য কার্যক্রম পরিচালিত হওয়া উচিত। আলাদাভাবে কোন স্বাস্থ্য কার্যক্রম গ্রহণ করলে প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা এবং সমন্বয়ের ক্ষেত্রে দ্বৈততার সৃষ্টি হবে এবং এলাকার জনগণ এর সুফল থেকে বঞ্চিত হবে।