সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। পাহাড়ের নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনা কমছে না। বরং বাড়ছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পরে নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়েছে। কন্যা শিশুরাও সহিংসতার শিকার হচ্ছে। নারীরা ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হয়। কিন্তু দোষীদের শাস্তি হচ্ছে না। ২০০৮ সালে সালে রাঙামাটি জেলায় জেলা ও দায়রা জজ আদালত স্থাপন হয়েছে। কিন্তু এ আদালত থেকে এ যাবৎ ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার একটিরও বিচার পাওয়া যায়নি।
সোমবার সকালে রাঙামাটির কল্যাণ পুরে হিল রিসোর্স সেন্টারে নারী হেডম্যান কার্বারী নেটওয়ার্ক ও কাপেং ফাউন্ডেশনের আয়োজনে পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ করণীয় ও কৌশল নির্ধারণ বিষয়ক এক কর্মশালায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
দিনব্যাপী এ কর্মশালায় বক্তারা বলেন, ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চুক্তির পর পার্বত্য চট্টগ্রামে অনেক আদিবাসী নারী সেটেলার, সরকারী নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক হত্যা ও ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এগুলোর একটিরও বিচার হয়নি। কল্পনা চাকমা অপহরণের শিকার হয়েছেন কিন্তুর তার হদিস এখনও মিলেনি।
এখন স্বজাতীয় দ্বারাও নারীরা ধর্ষণ হত্যার শিকার হচ্ছে। কিন্তু ভক্তভোগীরা ন্যায় বিচার পাচ্ছে না। বিচারিক কার্যক্রমের দীর্ঘসূত্রীতার কারণে মানুষ বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলছে।
পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা দিন দিন বাড়ছে। এরই অংশ হিসেবে আদিবাসী নারী শিশুরা পরিস্থিতির শিকার হচ্ছে। দিনব্যাপী কর্মশালায় রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি জেলা থেকে অর্ধ শতাধিক নারী অংশ নেন।
নারী হেডম্যান-কার্বারী নেটওয়ার্কের সভাপতি জয়া ত্রিপুরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গবেষক অধ্যাপক মংসানু চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরূপা দেওয়ান, রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অরুন কান্তি চাকমা, সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্কের সহ সভাপতি শক্তিপদ ত্রিপুরা, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক কল্পনা চাকমা, সিনিয়র আইনজীবী সুস্মিতা চাকমা।