সিএইচটি টুডে ডট কম ডেস্ক। গতকাল বিলাইছড়ি ফারুয়ার অধিবাসী যৌন নিপীড়নের শিকার দুই কিশোরীকে হাসপাতালকে নিজ দায়িত্ব নিতে চাওয়াকে কেন্দ্র করে চাকমা রাণীর আচরনে ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদ।
আজ বিকালে সংগঠনটির আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম এক বিবৃতিতে দাবি করেন, গতকাল ২৬ জানুয়ারি শুক্রবার রাঙামাটি সদর হাসপাতালে যুদ্ধাপরাধীর পুত্র বধু রানী ইয়েন ইয়েন হাসপাতালের ডাক্তার ও প্রশাসনের সাথে অশোভন আচরণ করেন। তিনি প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকদের মারতে তেড়ে আসেন সাংবাদিকদের সামনেই, তার এই অশোভন ও উগ্র আচারণের ভিডিও ও স্থির ছবি রয়েছে। এসময়ে তার সাথে উষাতন তালুকদার এমপি রাজা দেবাশীষ রায় ও মানবধিকার কমিশনের রাঙামাটি জেলা শাখার সদস্য বাঞ্চিতা চাকমা উপস্থিত ছিলেন। তখন তাদের সাথে ৪০০-৫০০ উপজাতীয় যুবক ছিলো, যারা অনেকেই সশস্ত্র অবস্থানে ছিলো, তারা জোর করে হাসপাতাল হতে বিলাইছড়িতে দুর্বৃত্ত কর্তৃক ধর্ষণ হওয়া দুই কিশোরীকে নিজের হেফাজতে নিয়ে সেনাবাহিনী ধর্ষণ করেছে মর্মে স্বীকারোক্তি নেওয়ার চেষ্টা করে। শেষমেষ কিশোরীর পরিবার হাসাপাতালের ডাক্তার আর প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের কারণে ব্যর্থ হয়ে সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে দেবাশীষ রায় সহ দলবল নিয়ে ফিরে আসে।
এখন পার্বত্যবাসীর প্রশ্ন হলো পার্বত্য চট্রগ্রামে সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন জেএসএস ইউপিডিএফ খুন গুম অপহরণ র্ধষণ করলে সেই ব্যাপারে রানী ইয়েন ইয়েন সহ মানবাধিকার কমিশনের রাঙামাটির সদস্য বাঞ্চিতা চাকমার তখন কোন তৎপরতা বা কোন প্রতিবাদ দেখা যায় না। কিন্তু কোন সন্ত্রাসী মারা গেলে তার পক্ষে প্রতিবাদ ও ব্যাপক তৎপরতা দেখা যায় ও আইন শৃংখলা বাহিনীর বিরুদ্ধে তাদের তৎপরতা দেখা যায়। যখন পাহাড়ের সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন কর্তৃক বিশাখা চাকমা ,ইতি চাকমা, মুকুল চাকমা, সাদিকুল ইসলাম, রবিউল, রতন,শান্ত, মোহনী ত্রিপুরা, বালাতি ত্রিপুরা, অরবিন্দু চাকমা, সহ অসংখ্য নিরীহ পার্বত্যবসীকে হত্যা করেছে তখন কথিত রানী ইয়েন ইয়েন ও মানবাধিকার কমিশনের বির্তকিত সদস্য বাঞ্চিতা চাকমারা কোথায় ছিলো। তখন কেনো তারা সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন গুলোর সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবী জানাননি ও প্রতিবাদ করেননি কেন?
তাহলে কি কথিত চাকমা রানী ইয়েন ইয়েন ও মানবাধিকার কমিশনের বির্তকিত সদস্য বাঞ্চিতা চাকমা বিচ্ছন্নতাবাদী সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী গুলোর পক্ষে কাজ করছেন ও দেশ বিরোধী এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন?
বিবৃতিতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টার অভিযোগ এনে রাণী ইয়েন ইয়েনকে আইনের আওতায় আনা ও মানবাধিকার কমিশনের বির্তকিত সদস্য বাঞ্চিতা চাকমাকে অপসারণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানানো হয়, অন্যথায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে হরতাল অবরোধ সহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষনা করার হুমকি দেয়া হয়।