শিরোনামঃ

চবি বাঙালী ছাত্র পরিষদের সভাপতি আতাউর, সম্পাদক ইখতিয়ার

সিএইচটি টুডে ডট কম ডেস্ক। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ২০১৭-১৮ সেশনে পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদের ৮১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর একটি হোটেলে পার্বত্য চট্রগ্রাম সমস্যা ও তার সমাধানের উপায় “শীর্ষক সেমিনার“ ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিলে সভাপতি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী মো:আতাউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক বাংলা বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষা বর্ষের মেধাবী ছাত্র ইখতিয়ার ইমন মনোনীত করা হয়েছে।

এছাড়া সিনিয়র যুগ্নসম্পাদক হিসেবে ইমরান, সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে জয় দাশ, দপ্তর সম্পাদক হিসেবে নাইমুল ইসলাম ফারাবী, অর্থ সম্পাদক হিসেবে মোঃ আল মামুন, প্রচার সম্পাদক হিসেবে মোঃ মাসুদ রানা সহ ৮১ সদস্যের কমিটি মনোনীত হন। কাউন্সিল পরিচালনা ও কমিটি ঘোষনা করেন পিবিসিপি,র কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ সারওয়ার জাহান খান।

চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপুল সংখ্যক মেধাবী ছাত্র/ছাত্রীদের উপস্থিতিতে কার্যকর কমিটির সি:সহ সভাপতি মোঃ আব্দুল করিমের উপস্থাপনায়-কাউন্সিল বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক মো:আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত সেমিনার ও কাউন্সিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও উপদেষ্টা মন্ডলীর সভাপতি এবং পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ভূঁইয়া।প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিবিসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ সারওয়ার জাহান খান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থি’ত ছিলেন পার্বত্য নাগরিক পরিষদের, বান্দরবান জেলার সভাপতি মুঃ আতিকুর রহমান,পার্বত্য নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক প্রভাষক মো:আরিফ বিল্লাহ,পিবিসিপি,র যুগ্ন সম্পাদক মো;হারুনুর রশিদ,মাসুম,প্রিয়তোষ দাস সহ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ভূঁইয়া বলেন, পার্বত্য সমস্যার দুই প্রকার,এক-সরকার কর্তৃক সৃষ্ট দুই কিছু উচ্ছ বিলাসী উপজাতী কর্তৃক তথাকথিত “জ্যুম্মল্যান্ড” আলাদারাষ্ট্র গঠনের হীন ষড়যন্ত্র। তিনি আরো বলেন,পৃথিবীর তিনটি অভাগা জাতির মধ্যে পার্বত্য বাঙালিরা ৩ নাম্বারে। আর এক নাম্বার জাতি হল রাখাইনের রোহিঙ্গা ভাগ্যাহত জাতি আর দুই নাম্বারে হল পাকিস্তানের বিহারী,যারা এখনও বাংলাদেশে বাস করে,কিন্ত কোন দেশ ই তাদের নাগরিকত্ব মেনে নেয়নি।ঠিক তেমনি পার্বত্য বাঙ্গালিদেরকে ও সন্ত লারমা পার্বত্য বাসি হিসেবে মেনে নেয়নি। সন্ত লারমা গংরা এখনই স্বাধীন“জুম্মল্যান্ডের” পতাকা ও মুদ্রা কি হবে তা নিয়ে ভাবনা শুরু করেছে। তারা বছরে হাজার কোটি টাকা চাঁদা আদায়ের মাধ্যমে ভারী অস্ত্র ক্রয় করেছে। সে অস্ত্রের মাধ্যমে বাঙালিদের বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে পার্বত্য এলাকা ছাড়া করার ষড়যন্ত্র করছে।

তাই চবির ছাত্র/ছাত্রীদেরকে পার্বত্য বাসীর সমাধিকার ও স্বার্বভৈৗমত্ব রক্ষার আন্দোলনে নেতৃত্ত্বদানের আহব্বান জানান।তিনি বলেন-এজন্য ‘শিক্ষিত হওয়া ছাড়া পার্বত্য এলাকায় বাঙালীদের ভাগ্যের পরিবর্তন সম্ভব নয়। আমরা আশা করি ছাত্র পরিষদের চবি শাখাই হবে আমাদের পাঞ্জেরী। তাদের হাত ধরে পার্বত্য এলাকার বাঙালীদের দিন পরিবর্তন হবে।

পার্বত্য বাঙালী চাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ওমর ফারুক সুজন প্রেরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়।

Print Friendly, PDF & Email

Share This:

খবরটি 194 বার পঠিত হয়েছে


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Time limit is exhausted. Please reload CAPTCHA.

ChtToday DOT COMschliessen
oeffnen