শিরোনামঃ

গ্যারান্টি দিতে পারি সুষ্ঠ নির্বাচন হবে: প্রধানমন্ত্রী

সিএইচটি টুডে ডট কম ডেস্ক।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী দলকে আশ্বাস দিয়ে বলেছেন,  “সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে এটুকু গ্যারান্টি দিতে পারি।”

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের ইতিহাসে কখনোই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব হয়নি। আমরা একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলোতে দেখেছি প্রত্যেক সিটি মেয়রের জনপ্রিয়তায় কমতি ছিল না, তারা অনেক ভালো কাজ করেছেন, কিন্তু তারপরেও তারা নির্বাচনে হেরেছেন। জনগণ কেন ভোট দেয়নি সে কথা জনগণের কাছেই জানতে চাই।”

Picture14

সাম্প্রতিক সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হারার পেছনে প্রধানমন্ত্রী মিডিয়াকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, “এ জন্য মিডিয়ারও ভূমিকা রয়েছে। সংবাদমাধ্যমগুলো নেতিবাচক খবরকেই বেশি প্রাধান্য দেয়, সরকারের অর্জনগুলোকে কখনোই গুরুত্ব দেয় না। আর সে কারণেই সরকারের ভাবমূর্তি খারাপ হয়।”

সুশীলদের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, “যারা টেলিভিশনে কথা বলেন তারাও একসময় বিভিন্ন দায়িত্বশীল পদে কাজ করেছেন এত বড় বড় কথা বলেন অথচ নিজেরা তাদের দায়িত্ব পালনকালে কতটুকু কি করতে পেরেছেন তা সাংবাদিকরা খুঁজে দেখতে পারেন। স্ব-স্ব কর্মস্থলে যারা ব্যর্থ তারাই এখন দেশে বড় বড় কথা বলছেন।”

বিরোধী নেত্রী তার অবস্থান থেকে কিছুটা সরে এলে আপনিও কি কিছুটা নমনীয় হয়ে এগিয়ে যাবেন? এমন এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশের স্বার্থে জনগণের স্বার্থে নমনীয় হতে যেকোনো সময় প্রস্তুত রয়েছি। বিরোধী দলীয় নেতারা সঙ্গে চা খেতেও আপত্তি নেই। আমি তো চা খেতে পছন্দই করি।”

শেখ হাসিনা বলেন, “খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গ ছেড়ে সংসদে এসে তার কী চাওয়া তা জানাতে পারেন। তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা বন্ধ করলেই দেশের রাজনৈতিক সংকট কেটে যাবে।”

জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিয়ে ছয় দিন যেসব কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন তা জানাতে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে অংশগ্রহণ এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্জনগুলো সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে শনিবার বিকেলে এ সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সাংবাদিক সম্মেলনের আগে প্রধানমন্ত্রী শনিবার সকালে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজেকের সঙ্গে দুপুরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে এবং বিকেলে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের সঙ্গে বৈঠক করেন।

জাতিসংঘ মহাসচিবকে বাংলাদেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে পর্যবেক্ষক পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের বিরুদ্ধে লংমার্চ চলছে এই প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে সুন্দরবনের পরিবেশের কোনো ক্ষতি হবে না। যারা বিরোধিতা করে লংমার্চ করছেন তাদের প্রতি যেখানে কেন্দ্রটি হচ্ছে সেখানে গিয়ে ঘুরে দেখতে বলেন। তিনি বলেন, সেখানে গেলেই বুঝতে পারবেন এটি কোনোই ক্ষতির কারণ হতে পারে না।

সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি দারিদ্রের বিরুদ্ধে সংগ্রামের জন্য সাউথ সাউথ অ্যাওয়ার্ড অর্জন, এমডিজি অর্জনে সবচেয়ে অগ্রসর দেশ হিসেবে জাতিসংঘের বিভিন্ন ফোরামে প্রশংসিত হওয়া ও বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে উপস্থাপনের সুযোগ মিলেছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

এসময় প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে বিশ্ব নেতাদের কাছে যুদ্ধাপরাধের বিচারে তাদের সহযোগিতা চাওয়ার বিষয়টি জানান। তিনি বলেন, সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সবচেয়ে এগিয়ে থাকার কারণে এবারের অধিবেশনে বাংলাদেশ বারবার প্রশংসিত হয়েছে। বার বার

Print Friendly, PDF & Email

Share This:

খবরটি 178 বার পঠিত হয়েছে


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Time limit is exhausted. Please reload CAPTCHA.

ChtToday DOT COMschliessen
oeffnen