সিএইচটি টুডে ডট কম,খাগড়াছড়ি। তথ্য প্রদানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তথ্য অধিকার আইন বিষয়ে উপজেলা পর্যায়ে গণসংলাপ আজ শনিবার খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়নে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইউএনডিপির বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা তৃণমুল এ গণ সংলাপের আয়োজন করে।
খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আবু দাউদ’র সঞ্চালনায় গণসংলাপে প্যানেল অতিথি ছিলেন খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শানে আলম, সদর উপজেলা পরিষদ’র মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বাশঁরী মারমা, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা অমল বিকাশ চাকমা ও উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মো. আবুল মনসুর আহমেদ।
সাংবাদিক সৈকত দেওয়ান সদর উপজেলার তথ্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে কোন তথ্য কর্মকর্তা আছে কিনা এবং উপজেলার তথ্যপ্রান্তির ক্ষেত্রে করণীয় পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চান।
জবাবে সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, উপজেলা পরিষদে লোকবল সংকট রয়েছে। তাই নির্দিষ্ট কোন তথ্য কর্মকর্তা এখানে নেই। বর্তমানে সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে তথ্য কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
ভূয়াছড়ি মারমা পাড়া পিডিসি সহসভাপতি খেং চিং মারমা সমাজসেবা অধিদপ্তরের তৃণমূল পর্যায়ে দারিদ্র বিমোচন প্রকল্পের আওয়ায় সমিতির সদস্যদের সঞ্চয়ের বই না দেয়ার অভিযোগ করে প্রশ্ন করেন। এছাড়াও সমাজসেবার ঋণ কার্যক্রম সুদমুক্ত হলেও মাসে ৫০ টাকা করে নেয়া হচ্ছে। এটি সুদ কি না? সে সম্পর্কে জানতে চান।
জবাবে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা অমল বিকাশ চাক্মা বলেন, সমাজসেবা অধিদপ্তর তৃণমূল পর্যায়ে মানুষের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সেনিটেশন, পরিবার পরিকল্পনা সম্পর্কে এবং জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করছে। তাছাড়া দারিদ্র বিমোচনে ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্পও চলমান রয়েছে। তিনি বলেন, কোন সদস্য পাস বই পায়নি এ সংক্রান্ত অভিযোগ থাকলে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ করলে এক মাসের মধ্যে তদন্ত পূর্বক বই সরবরাহ করার ব্যবস্থা করা হবে।
অন্যান্যদের মধ্যে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন, সাংবাদিক জহুরুল আলম, সাংবাদিক আব্দুল হালিম ও অনিমেষ চাক্মা।
অনুষ্ঠানে তথ্য অধিকার আইন ২০০৯’র আলোচনার পাশাপাশি অংশগ্রহণকারীগণ প্যানেল অতিথিদের বিভিন্ন তথ্য সংক্রান্ত প্রশ্ন করেন এবং প্যানেলে অতিথিবৃন্দ সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দেন।