সিএইচটি টুডে ডট কম ডেস্ক।
কাল বুধবার মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুল আলীমের মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। মঙ্গলবার বিচারপতিওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ রায় ঘোষণার জন্য এদিন ধার্য করেন। এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর জামিন বাতিল করে মামলার রায় যেকোনো দিন দেয়া হবে মর্মে অপক্ষেমাণ (সিএভি) রেখে দেয় ট্রাইব্যুনাল।
গত বছরের ১১ জুন আলীমের অভিযোগ গঠন করে ট্রাইব্যুনাল।টানা এক বছর তিন মাস শেষে এ মামলার কার্যক্রম পরিসমাপ্তি ঘটে। প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ আলীমের মামলায় শেষ পর্বের যুক্তি উপস্থাপন করেন। এর আগে এ মামলার প্রসিকিউটর রানা দাস গুপ্ত তার যুক্তি উপস্থাপন করেন। অন্যদিকে আলীমের পক্ষে তার আইনজীবী এএইচএম আহসানুল হক হেনা, আবু ইউসুফ মো. খলিলুর রহমান ও তাজুল ইসলাম যুক্তি উপস্থাপন করেন। আলীমের বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তাসহ প্রসিকিউশনের ৩৫জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন।
এ ছাড়া তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেয়া দুইজনের জবানবন্দিকেই সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করেছে ট্রাইব্যুনাল।এদিকে আলীমের পক্ষে তিনজন সাফাই সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, লুণ্ঠন ও আগুন ধরিয়ে দেয়াসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিশেষ শর্তে জামিনে থাকা আলীমের বিরুদ্ধে তিন হাজার ৯০৯ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে। এতে সাত ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের ২৮টি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ এনেছে ট্রাইব্যুনালে। পরে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আনীত মোট ২৮টি ঘটনার ১৭টি আমলে নিয়ে ট্রাইব্যুনাল এ অভিযোগ গঠন করে আদেশ দেন।
প্রসিকিউটর রানা দাসগুপ্ত জামিন বাতিলের এ আবেদন করেন। অন্যদিকে রায় পর্যইন্ত তার জামিন বহাল রাখার আবেদন করে আসামিপক্ষ। গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়।এর আগে গত ৪ থেকে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চার কার্যদিবসে প্রসিকিউশন প্রথম পর্যায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। এর আগে গত বছরের ২৩ মে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করার জন্য ট্রাইব্যুনাল আদেশের দিন ধার্য করে দেন। ওই দিন একই সঙ্গে তার জামিনের মেয়াদ ১১ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এর আগে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন প্রসিকিউটর রানা দাসগুপ্ত। পরে আসামি আব্দুল আলীমের আইনজীবী তাজুল ইসলাম অভিযোগ গঠন না করার পক্ষে ও মামলা থেকে আলীমকে অব্যাহতি চেয়ে যুক্তি তুলে ধরেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গত বছরের ২৭ মার্চ জয়পুরহাটের বাড়ি থেকে আলীমকে গ্রেফতার করা হয়। ৩১ মার্চ তাকে এক লাখ টাকায় মুচলেকা এবং ছেলে ফয়সাল আলীম ও আইনজীবী তাজুল ইসলামের জিম্মায় জামিন দেন ট্রাইব্যুনাল। পরে শুনানিতে পর্যায়ক্রমে কয়েক দফা এই জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়।