শিরোনামঃ

কাপ্তাই ব্যাঙছড়ির ডাবল ব্রীজ ভেঙ্গে দূর্ভোগে মারমা জনপদের বাসিন্দারা

সিএইচটি টুডে ডট কম, কাপ্তাই (রাঙামাটি)। রাঙামাটি পার্বত্য জেলার পর্যটন উপ-শহর কাপ্তাইয়ের ব্যাঙছড়ি মারমা পাড়ার ডাবল ব্রীজ ভেঙ্গে দুই বছর যাবত কৃষি নির্ভর জনপদের বাসিন্দারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। কাপ্তাই ইউনিয়নের আওতাভুক্ত হলেও যাতায়াত পথে নির্ভর করতে হয় হাজারখানিক বাসিন্দাদের এই ডাবল ব্রীজটি দিয়ে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ব্যাঙছড়ির ডাবল ব্রীজ দিয়ে প্রতিদিন আসা-যাওয়া করতে হয় কোমলমতী ছেলেমেয়েরা সহ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরতদের। পাহাড়ি জনপদে উৎপাদিত কৃষি পণ্য সাপ্তাহিক হাট সহ স্থানীয় বাজার বিক্রয়ের জন্য এই ব্রীজের উপর শতভাগ নির্ভর করতে হয়। সমগ্র উপজেলার সাথে অত্র অঞ্চলের বাসিন্দাদের সংযোগ স্থাপন নির্ভর এই ব্রীজ।

ব্রীজটি ভেঙ্গে পড়ায় মারমা পাড়া, দীঘলছড়ি, দেবতাছড়ি, বরদাম, নুন ছড়ি, মংছং, নাও ভাঙ্গা সহ আরও কয়েক এলাকার হাজার খানেক জনসাধারণের চলাচলে প্রতিনিয়ত দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কিন্তু বছর খানেক ধরে ভাঙ্গা এই ব্রীজটি চলাচলের অনুপযোগী হওয়া শর্তেও কোন পদক্ষেপ স্থানীয়দের দৃষ্টিগোচর হয়নি। সর্বশেষ ১৩ই জুনের পাহাড় ধ্বসে ত্রিমিছড়া, দোছড়ি, পিংখ্যাং ছড়ার পানি ও পাহাড় ধ্বসে বৃহত্তর গাছের অংশের ধাক্কায় ব্রীজের রাস্তা সহ ব্রীজের ৮০ভাগ ভেঙ্গে যায়। যার কারণে ব্রীজটি সম্পূর্ণ চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরে। এদিকে স্থানীয়রা বলছেন, সরকারীভাবে ব্রীজের ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় তারা ব্রীজের দুপাশে কাঠ বেধে মোটামুটি চলাচলের অস্থায়ী একটি ব্যবস্থা করে। তবে গতকাল স্বরেজমিনে দেখা যায়, ব্রীজটি দুই অংশে স্থানীয়রা যে কাঠ দিয়ে অস্থায়ী ভাবে চলাচলের রাস্তা তৈরী করেছিল সেই রাস্তাও ঝুঁকি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। যে কোন সময় অস্থায়ী এই কাঠের রাস্তাটিও ধ্বসে পরবে।
স্থানীয় কৃষক উসুইহলা মারমা, থুইচাই মারমা বলেন, আমাদের এই পাড়াটিতে প্রায় একশ পরিবারের মতো বসবাস করছে। তাদের সিংহভাগ কৃষি নির্ভর। প্রতি শনিবার ও বুধবার হাট বাজারে কৃষিপণ্য তুলতে হয়। ব্রীজটি ভাঙ্গা থাকায় আমাদের যাতায়াতে কি পরিমাণ দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তা বলে বুঝানো যাবেনা। ব্রীজটি ভাঙ্গা থাকায় পরিবহন চালকরা এই পথে প্রবেশ করতে চায়না। যেই কারণে আমাদের উৎপাদিত অনেক পণ্য বাজারে তোলা হয়ে উঠেনা। ব্রীজটি ভাঙ্গা থাকলে আমরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে হচ্ছে। তারা বলেন, পাহাড় ধ্বসের পর সরকারী ভাবে কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় আমরা পাড়াবাসীর উদ্যোগে কাঠের টুকরা দিয়ে অস্থায়ীভাবে একটি চলাচলের উপযোগী রাস্তা তৈরী করি।

এই বিষয়ে কাপ্তাই ইউনিয়ন চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ বলেন, বিষয়টি আমার দৃষ্টিতে রয়েছে। এই ব্রীজটি ইতিমধ্যে এলজিইডির বাজেটের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তারিকুল আলম বলেন, এই বিষয়ে খুব দ্রুত কার্যকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

কাপ্তাই উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ দিলদার হোসেন বলেন, ব্রীজটি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত স্থানীয়দের দূর্ভোগের সীমা নেই। এই ব্রীজটি খুব দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এই বিষয়ে কাপ্তাই উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা প্রকৌশলী মুনিরুল ইসলামকে কল করলেও তিনি এই প্রতিনিধির কল রিসিভ করেননি।

Print Friendly, PDF & Email

Share This:

খবরটি 228 বার পঠিত হয়েছে


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Time limit is exhausted. Please reload CAPTCHA.

ChtToday DOT COMschliessen
oeffnen