সিএইচটি টুডে ডট কম, কাউখালী (রাঙামাটি)। ভাংচুর, সড়ক অবরোধ ও বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের মধ্যদিয়ে কাউখালীতে ১৮ দলীয় জোটের ডাকা ৬০ ঘন্টার হরতালের প্রথম দিনে অতিবাহিত হয়েছে। হরতাল চলাকালে যুবলীগ যুবদল সংঘর্ষে ৭জন গুরুতর আহত হয়েছেন। সোমবার সকাল ৯টায় কাউখালী ঘিলাছড়ি সড়কের শামুছড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের কাউখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে পাঁচজনকে রাঙামাটি সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ শ্যামল কান্তি বড়–য়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন, ঘিলাছড়ি থেকে মোঃ আব্দুল লতিফ নামের এক ছাত্র সাইকেল চালিয়ে কাউখালী কলেজে যাচ্ছিল। এসময় শামুছড়ি ব্রিজের উপর বসে থাকা যুবলীগ কর্মীরা তার উপর হামলা চালালে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এখবর ঘিলাছড়ি পৌঁছলে যুবদল কর্মীরা সংঘবদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় উভয় পক্ষের ৭জন আহত হয়। আহতরা হলেন, ঘিলাছড়ি ৪নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি মোঃ আব্দুল লতিফ (২৪), যুবদল সদস্য মোঃ নজরুল ইসলাম (৩০), সাইদুল হক (২৮), মোঃ ইব্রাহীম (২৪), ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্মসম্পাদক অংশিনু মারমা (৩০), সদস্য অংশিমং মারমা (২২), অংসাচিং মারমা (২৫)।
যুবদল সভাপতি আবুল হাসেম জানান, ৪নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি মোঃ আব্দুল লতিফ প্রতিদিনের ন্যায় ক্লাস করার জন্য কাউখালী কলেজে যাচ্ছিল এসময় যুবলীগ ক্যাডার অংশিনু মারমার নেতৃত্বে যুবলীগ কর্মীরা লতিফের উপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। লতিফকে উদ্ধার করতে যুবদল কর্মীরা এগিয়ে এলে তাদের উপরও হামলা চালায় যুবলীগ ক্যাডাররা। এসময় পাঁচ যুবদল নেতা কর্মী মারাত্মক আহত হয়।
যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন জানান, হরতালের কারণে রাস্তায় গাড়ী না থাকায় ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক অংশিনু মারমাসহ কয়েকজন পায়ে হেঁটে কাউখালী বাজারে আসছিল। এসময় শামুকছড়ি এলাকায় পিকিটিংরত যুবদল কর্মীরা তাদের উপর হামলা চালিয়ে ৩জনকে আহত করে।
এদিকে আহত যুবলীগ কর্মীরা উপজাতীয় ও যুবদল কর্মীরা বাঙ্গালী হওয়ায় উপজেলার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে পাহাড়ী বাঙ্গালী সংঘর্ষ বেঁধেছে। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সোমবার সাপ্তাহিক হাটের দিন থাকার পরও মূহুর্তের মধ্যে পুরো এলাকা জনশূন্য হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এছাড়া কাউখালীতে মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে হরতালের প্রথম দিন অতিবাহিত হয়েছে। হরতালের কারনে কাউখালী উপজেলায় কোন যানবাহন চলাচল করেনি। ভোরে উপজেলার বেতছড়ি এলাকায় পিকেটাররা কয়েটি সিএনজি অটোরিক্সা ভাংচুর করে। এছাড়া রাঙ্গীপাড়া, বেতছড়ি ও কাশখালী এলাকায় পিকেটাররা রাস্তার উপর গাছ ফেলে অবরোধ সৃষ্টি করে।