শিরোনামঃ

বান্দরবানে

এমডিজি অর্জন ও এসডিজি অর্জনের পথে বাংলাদেশ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

সিএইচটি টুডেডট কম, বান্দরবান। বান্দরবানে এমডিজি আর্জন ও এসডিজি অর্জনের পথে বাংলাদেশ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে বান্দরবান জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মুফিদুল আলম এর সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা শারমিন আক্তার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমা বিনতে আমিন, সহকারী কমিশনার মো. কামরুজ্জামান, অরুন কৃষ্ণ পাল, বান্দরবান কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সুকুমার দত্ত, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ পরিচালক সাইফুদ্দিন মুহাম্মদ হাসান আলী, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা শিলাদিত্য মুৎসুদ্দি, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ছরোয়ার সহ বান্দরবান জেলার বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা।
এসময় সেমিনারে বক্তারা বলেন, ‘মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল’ বা এমডিজি অর্জনের সময় শেষ হয়েছে ২০১৫ সালে। ২০১৬ সাল থেকে শুরু হয়েছে ১৫ বছর মেয়াদি ‘সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল’ বা এসডিজি। তবে এমডিজির আটটির বিপরীতে এসডিজিতে পূরণ করতে হবে মোট ১৭টি লক্ষ্যমাত্রা। ২০০০ সালে জাতিসংঘ মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল বা সহ¯্রাব্দের লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করে, যা শেষ হলো ২০১৫ সালে। এর লক্ষ্যমাত্রা ছিল আটটি । ১. চরম দারিদ্র্য ও ক্ষুধা নির্মূল করা, ২. সার্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন, ৩. জেন্ডার সমতা অর্জন এবং নারীর ক্ষমতায়ন, ৪. শিশু মৃত্যুহার কমানো, ৫. মাতৃস্বাস্থ্যের উন্নয়ন, ৬. এইচআইভি/এইডস, ম্যালেরিয়া এবং অন্যান্য রোগব্যাধি দমন, ৭. পরিবেশগত স্থিতিশীলতা নিশ্চিতকরণ এবং ৮. সার্বিক উন্নয়নে বিশ্বব্যাপী অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা। বাংলাদেশ জাতিসংঘের ভাষাতেই এমডিজির লক্ষ্য অর্জনে অনুসরণীয় সাফল্য দেখিয়েছে। বাংলাদেশকে বলা হয় এমডিজির ‘রোল মডেল’।
এসময় বক্তারা আরো বলেন, ২০১৬ থেকে ২০৩০ মেয়াদে এসডিজির ১৭টি লক্ষ্যের উদ্দেশ্যে হলো: দারিদ্র্য দূরীকরণ, খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টিমান উন্নয়ন, স্বাস্থ্যমান অর্জন, মানসম্পন্ন শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি, নারীর সর্বজনীন ক্ষমতায়ন, নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলাসহ সামুদ্রিক সম্পদ সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা। এসডিজির ১৭টি লক্ষ্যমাত্রা হলো: ১. সকল প্রকার দারিদ্র্য দূর করা; ২.খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টির উন্নয়ন ও কৃষির টেকসই উন্নয়ন ৩. সকলের জন্য সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা; ৪. সবার জন্য ন্যায্যতাভিত্তিক ও মানসম্পন্ন শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিতকরণ; ৫. জেন্ডার সমতা অর্জন এবং সকল নারীর ও মেয়েদের ক্ষমতায়ন; ৬. সকলের জন্য নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশনের ব্যবস্থাপনা ৭. সকলের জন্য জ্বালানি বা বিদ্যুতের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা; ৮. স্থিতিশীল ও অংশ গ্রহণ মূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, পূর্ণকালীন উৎপাদনমূলক কর্মসংস্থান ও কাজের পরিবেশ ৯. স্থিতিশীল শিল্পায়ন এবং উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করা; ১০. রাষ্ট্রগুলোর অভ্যন্তরীণ ও আন্তঃরাষ্ট্র বৈষম্য বিলোপ; ১১. মানব বসতি ও শহর গুলোকে নিরাপদ ও স্থিতিশীল রাখা, ১২. উৎপাদন ও ভোগ কাঠামোর স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা; ১৩. জলবায়ু পরিবর্তন ও এর প্রভাব মোকাবেলায় তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণ ১৪. টেকসই উন্নয়নের জন্য সাগর, মহাসাগর ও সামুদ্রিক সম্পদ সংরক্ষণ ও পরিমিত ব্যবহার নিশ্চিত করা; ১৫. স্থলভূমির জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও উন্নয়ন, মরুকরণ প্রতিরোধ করা এবং জমির ক্ষয়রোধ ও জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি কমানো ১৬. শান্তিপূর্ণ ও অংশ গ্রহণ মুলক সমাজ, সকলের জন্য ন্যায়বিচার, সকল স্তরে কার্যকর, জবাবদিহি ও অংশ গ্রহণ মূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা এবং ১৭. টেকসই উন্নয়নের জন্য এসব বাস্তবায়নের উপায় নির্ধারণ ও বৈশ্বিক অংশীদারিত্বের স্থিতিশীলতা আনা।

Print Friendly, PDF & Email

Share This:

খবরটি 168 বার পঠিত হয়েছে


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Time limit is exhausted. Please reload CAPTCHA.

ChtToday DOT COMschliessen
oeffnen