সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার ফারুয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিশ^রায় তঞ্চঙ্গ্যাকে গুলি করেছে দুবৃর্ত্তরা। বুধবার ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে ফারুয়া বৈনছড়ি বৌদ্ধ মন্দিরে ঘুমিয়ে থাকার সময় সেখানে ১০/১৫জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ এলোপাথারি গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়, এসময় দলীয় নেতা কর্মীরা হাসপাতালে ভিড় করতে থাকে। ঘটনার জন্য যুবলীগ ও আওয়ামীলীগ জেএসএসকে দায়ী করে বলেছে তারা আওয়ামীলীগকে নিশ্চিহৃ করতে জেএসএস একের পর এক আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদের হত্যা ও গুলি করছে।
এর আগে ডিসেম্বরের ৭ ডিসেম্বর জুরাছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অরুবিন্দু চাকমাকে গুলি করে হত্যা করে দুবৃর্ত্তরা, একইদিন বিলাইছড়ি আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি রাসেল মার্মাকে কুপিয়ে আহত করে দুবৃর্ত্তরা, ৭ডিসেম্বর ভোর রাতে জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ঝর্ণা খীসাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে দুবৃর্ত্তরা। একের পর এক আওয়ামীগের নেতা কর্মীদের হামলার ঘটনায় আওয়ামীলীগ ও জেএসএসের মধ্যে সর্ম্পকের অবনতির পাশাপাশি পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। এদিকে ঘটনার প্রতিবাদে বিকালে যুবলীগ রাঙামাটি শহরে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে।
ঘটনার বিষয়ে তার পরিবার জেএসএসকে দায়ী করে বলেছে, বৌদ্ধ মন্দিরের কাজ করতে নিষেধ করার পরও কাজ করায় সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করেছে
জেলা যুবলীগের সভাপতি ও রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী বলেছেন, আমরা শান্তি চুক্তির স্বপক্ষের শক্তি হওয়া সত্বেও আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের উপর মেনে নেয়া যায় না। যারা পাহাড়ে শান্তি চায় না অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায় তারাই এসব ঘটনাগুলো ঘটাচ্ছে। তিনি ঘটনার জন্য জেএসএসকে দায়ী করে অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি জানান।
এদিকে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা: শওকত আকবর চিকিৎসক জানিয়েছেন আহতের পেটে ও পায়ে ৬টি গুলি লেগেছে, অপারেশন চলছে তবে আশংকামুক্ত বলা যাচ্ছে না।
এদিকে ঘটনার বিষয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি পুলিশ।