শিরোনামঃ

খাগড়াছড়িতে মাতৃভাষার শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে সেমিনার

একবিংশ শতাব্দীতে অধিকাংশ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মাতৃভাষা বিলুপ্তের আশঙ্কা

সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। খাগড়াছড়িতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সমূহের মাতৃভাষা শিক্ষা-এই মুহুর্তে করণীয় ও সম্ভাবনা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। খাগড়াছড়ি সদরের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের হলরুমে অনুষ্ঠিত সেমিনারে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের শিক্ষা কার্যক্রমের চ্যালেঞ্জ, সমস্যা উত্তরণে করণীয় ও সম্ভাবনা নিয়ে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক সুগত চাকমা।
খাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনষ্টিটউটের উপ-পরিচালক সুসময় চাকমার সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক চাহেল তস্ত্ররী, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফাতেমা মেহের ইয়াসমিন, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য খগেশ্বর ত্রিপুরা, প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক মতিলাল দে। প্যানেল আলোচক ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব উক্যজেন, শিক্ষাবীদ প্রফেসর বোধিসত্ত্ব দেওয়ান, গবেষক মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা।
বক্তারা বলেন, একবিংশ শতাব্দীতে পৃথিবীর জীবিতপ্রায় ৬ হাজার ৭শত ভাষার মধ্যে অর্ধেক বিলুপ্ত হয়ে যাবে। বাংলাদেশে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়রা এই ঝুঁকিতে রয়েছে। দীর্ঘদিনের আন্দোলনের পর ২০১৬ সালে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো ও সাদরী সম্প্রদায়ের মাতৃভাষায় প্রাক প্রাথমিকে পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন হয়। পরবর্তীতে প্রথম শ্রেণী পর্যন্ত উন্নীত হলেও শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ না থাকায় সরকারের ইতিবাচক এই উদ্যোগ হোচঁট খাচ্ছে। কিন্তু প্রাথমিক পর্যায়ে যদি মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা পরিপূর্ণ ভাবে চালু করা যায় তাহলে ঝরে পড়ার হার অনেকাংশ হ্রাস পাবে।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের স্বার্থ সংরক্ষণে প্রতিশ্রুতবদ্ধ। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির আলোকে সরকার মাতৃভাষায় পাঠ্যপুস্তক কার্যক্রম চালু করেছে। ইতিবাচক এই কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে শিক্ষক প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য সুবিধার ব্যবস্থার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
সেমিনার শেষে খাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের আয়োজনে প্রথম পর্যায়ে চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের নব্বই জন শিক্ষককে নিয়ে পনের দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করা হয়। এসময় প্রশিক্ষকদের হাতে প্রশিক্ষণ নির্দেশিকা তুলে দেয়া হয়।

Print Friendly, PDF & Email

Share This:

খবরটি 224 বার পঠিত হয়েছে


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Time limit is exhausted. Please reload CAPTCHA.

ChtToday DOT COMschliessen
oeffnen