সিএইচটি টুডে ডট কম ডেস্ক। বুধবার ইউরোপীয় পার্লামেন্টে গিয়ে নিজের হাতে ‘সাখারভ প্রাইজ ফর ফ্রিডম’ গ্রহণ করলেন পাকিস্তানের কিশোরী মালালা ইউসুফজাই৷ শিশুদের জন্য শিক্ষার দাবিতে সোচ্চার মালালা৷
তালেবানের চোখরাঙানি, বুলেটের আঘাত – কিছুই দমাতে পারেনি তাকে৷ এমন সাহসী ও দৃঢ় অবস্থানের স্বীকৃতি হিসেবেই মালালা পেয়ে চলেছেন একের পর এক পুরস্কার৷ বুধবার ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট মার্টিন শুলৎস মালালার ভূয়সী প্রশংসা করে তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন৷ তিনি মালালাকে শিক্ষার অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এক ‘গ্লোবাল আইকন’ বা আন্তর্জাতিক প্রতীক হিসেবে বর্ণনা করেন৷ মৌলবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের ক্ষেত্রেও তার অবদানের কথা স্বীকার করেন মার্টিন শুলৎস৷ মালালা তার ভাষণে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের উদ্দেশ্যে সারা বিশ্বে শিক্ষার প্রসারের লক্ষ্যে সংগ্রামের ডাক দিয়েছে৷ প্রায় ৫ কোটি ৭০ লক্ষ শিশু শিক্ষা থেকে বঞ্চিত, তারা স্কুলে যেতে পারে না৷ ফলে সবারই বিবেক দংশন হওয়া উচিত বলে মনে করে মালালা৷
শুধু ইউরোপের মধ্যে দৃষ্টি আবদ্ধ না রেখে সর্বত্র মানবাধিকার রক্ষার প্রতি মনোযোগ দেবার আবেদন করে সে৷ যে সব শিশু দারিদ্র্য, নির্যাতন ও সন্ত্রাসবাদের শিকার হচ্ছে, তারা আইফোন, এক্সবক্স, প্লে-স্টেশন বা চকোলেট চায় না৷ মালালার মতে, তাদের হাতে বই ও কলম তুলে দিলেই তারা সন্তুষ্ট হবে৷ তার নিজের সংগ্রাম চালিয়ে যেতে এই পুরস্কার অত্যন্ত সহায়ক হবে৷ মালালা এই পুরস্কারটি পাকিস্তানের সেই সব মানুষের প্রতি উৎসর্গ করেছে, যারা সবার অলক্ষ্যে একই প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন৷ গোটা বিশ্বে যারা মৌলিক মানবাধিকারের জন্য লড়াই করছেন, তাদেরকেও একই আসনে বসিয়েছেন তিনি৷ বুধবার ২৫তম পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাখারভ পুরস্কার বিজয়ী আরো ২১ জন৷ তাদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশের নির্বাসিত বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনও৷ ১৯৯৪ সালে তিনি এই পুরস্কার পান৷