সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম হানা এবং স্পেনের রাষ্ট্রদূত লুইস তেজাদা চেকন এর নেতৃত্বে একটি দল ৯-১১ ফেব্র“য়ারি পর্যন্ত রাঙামাটি এবং বান্দরবান জেলা সফর শুরু করেছেন। দলটি রাঙামাটি এবং বান্দরবান জেলায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন এর অর্থায়নে এবং ইউএনডিপি-সিএইচটিডিএফ এর মাধ্যমে বাস্তবায়িত বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শনের পাশাপাশি স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সাথে সাক্ষাৎ করবেন।
৪ সদস্যবিশিষ্ট টিমের অন্যান্য সদস্যরা হলেন – উন্নয়ন সংস্থা ইউ এর প্রধান ফিলিপ জ্যাকুস এবং ডেলিগেট ফেব্রিরিজিও সিনসি।
দলের সদস্যরা আজ রোববার দুপুরে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমার সাথে তাঁর অফিস কক্ষে এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন।
সাক্ষাতে রাষ্ট্রদূতরা রাঙামাটি পার্বত্য জেলার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ভুমি, উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী এবং নারীদের অংশগ্রহণ, পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাচন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির বাস্তবায়নের অগ্রগতি এবং সার্বিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সম্পর্কে মত বিনিময় করেন। বিশেষ করে তারা পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের অংশ হিসাবে পার্বত্য জেলা পরিষদগুলির নির্বাচন অনুষ্ঠান প্রত্যাশা করেন।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা রাষ্ট্রদূতদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, ইউএনডিপি-সিএইচটিডিএফ এবং রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি এবং পরিষদগুলির প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে যথেষ্ট অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়ন ক্রমান্বয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে তাদের সাহায্য প্রত্যাহার করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন একটি চলমান প্রক্রিয়া। ইতিমধ্যে চুক্তির একটি বৃহৎ অংশ বাস্তবায়িত হয়েছে এবং অন্যান্য ধারাগুলোও বাস্তবায়িত হচ্ছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে অত্যন্ত আন্তরিক। বর্তমান সরকার নির্বাচনী ইশ্তেহারেও পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।
তিনি আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি পূর্ণ বাস্তবায়নের আগেই যদি ইউরোপীয় ইউনিয়ন পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে তাদের সাহায্য প্রত্যাহার করে নেয় তাহলে এর বিরূপ প্রভাব পার্বত্য চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়নের উপর পড়বে। এজন্যে তিনি রাষ্ট্রদূতদের কাছে যৌথ উন্নয়ন কার্যক্রম চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
এছাড়া তিনি রাঙামাটি পার্বত্য জেলার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ভুমি, উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী এবং নারীদের অংশগ্রহণ, পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাচন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির বাস্তবায়নের অগ্রগতি এবং সার্বিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন, পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন অনুযায়ী ভুমি, পুলিশ পরিষদে হস্তান্তর এবং পার্বত্য জেলা পরিষদসমূহের নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ জেলার প্রকৃত উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব।
এসময় চেয়ারম্যানের সঙ্গে পরিষদের সদস্য অংসুই প্র“ চৌধুরী, শামীম রশিদ, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইরফান শরীফ এবং জনসংযোগ কর্মকর্তা অরুনেন্দু ত্রিপুরা উপস্থিত ছিলেন।
ইউএনডিপি-সিএইচটিডিএফ এর পক্ষ থেকে ডেপুটি ডিরেক্টর প্রসেনজিৎ চাকমা, চীফ ইমপ্লিমেন্টাশন রবাট স্টোলম্যান এবং ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার ঔশ্বর্য চাকমা উপস্থিত ছিলেন।